আজ, বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



কক্সবাজারে আটক সেই যুবকই কুমিল্লার ইকবাল

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইকবালকে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ পর্যন্ত ৭ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে কক্সবাজার পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৬ টা ২০ মিনিটের সময় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে ইকবালকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় পুলিশ।

ইকবালকে ধরার কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক। মূলত এ তিন বন্ধু সমুদ্র সৈকতে কৌশলে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সহযোগিতা নেন।

এরপর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে গ্রেফতারের পর পরই অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ৭ ঘন্টা ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলামের কক্ষে ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকাল ৬টা ২০ মিনিটের সময় কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু জানান, ৩ বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু সুগন্ধায় পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর থেকে কীভাবে তাকে পুলিশে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকি।

মিশু আরও জানান, রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তারপর পুলিশকে বিষয়টি জানাই।