চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ার করাইয়াঘোনা স্কুলে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যের দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতের নির্দেশে সরে জমিনে তদন্তে আসেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার।পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনা গ্রামে ২ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে উক্ত তদন্ত কাজ চালিয়েছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনা গ্রামে নুরুচ্ছফার স্ত্রী জয়নাব আরা বেগমের নামে করাইয়াঘোনা মৌজার বি.এস ৩৬৪ নং খতিয়ানের ৩৭০ নং দাগের ৩.৩৩ শতক জমির মালিকানা রয়েছে। যা করাইয়াঘোনা মৌজার বি.এস ২৯ নং খতিয়ানের রেকর্ড মালিক আবুল কাসেম থেকে ১০৭ নং রেজিঃ দানপত্র মূলে কবলা ও সৃজিত বি.এস ৩৬৪ খতিয়ান মূলে উক্ত মালিকানা অর্জন করেন। জমির অবস্থান করাইয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন সেন্টার ভবন সংলগ্ন হওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমিটির লোকজন নিয়ে জমি দখলে রাখার চেষ্টা চালায়। এনিয়ে জমি মালিক পক্ষের জয়নাব বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজারে এম. আর মামলা নং- ১৭৬৫/২০২৩ দায়ের করেন। মামলায় মৃত কবির আহমদের পুত্র জাহেদুল ইসলাম সহ ৬জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করা রয়েছে। মামলার আলোকে এবং আদালতের নির্দেশে তপশীলোক্ত জমি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাহাত উজজামান। এর পূর্বে সরে জমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন দেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা চিরিঙ্গা সলিম উল্লাহ। সম্প্রতি বিবাদী পক্ষ এসব প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দিয়ে পূণঃতদন্তের আবেদন করলে তা গ্রহণ করে পূণরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে। এর প্রেক্ষিতে ২ডিসেম্বর সকালে সরে জমিনে তদন্ত যান উপজেলা সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন।
জমি মালিক জয়নাব আরা বেগমের স্বামী নুরুচ্ছফা জানান, তাদের পক্ষে প্রতিবেদনসহ যাবতীয় কাগজপত্র বৈধ থাকা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষসহ কতিপয় লোকজন জমির মালিকানা ভোগ করতে দিচ্ছেনা। ১৯৪৫ সাল থেকে জমির আমাদের ওয়ারিশি সূত্রে মালিকানা রয়েছে।জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংখা রয়েছে মর্মে উপজেলা সহকারি কমিশনার প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
অপরদিকে, করাইয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭০ সালে। স্কুলের সাইক্লোন সেন্টার ভবন নির্মিত হয় ১৯৯৫ সালে। যেহেতু জমি নিয়ে তাদের (বাদী পক্ষ) কাগজপত্র সৃজন হয়েছে, তৎজন্য স্থানীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি পক্ষের সাথে জমি এ্যাওয়াজ করে খুব শীঘ্রই নিষ্পত্তি হবে। বিরোধটি চলছে দীর্ঘ ৩০বছর ধরে। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে আলোচনা চলছে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc