আজ, বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



পেশাদার প্রতারক পাওয়ার আলী এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।

 

এস.এম সাইফুল চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্স টিভি, কক্সবাজার।

 

কক্সবাজারে এক দুর্ধর্ষ প্রতারকের আভির্ভাব ঘটেছে। তার ভয়ানক প্রতারণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, প্রবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মান্যগণ্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজের বিত্তশালী পরিবার কিংবা এরাকাবাসী সবাই তার একের পর এক শিকারে পরিণত হচ্ছে।

সেনাপ্রধান, পুলিশের আইজিপি-ডিআইজির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, থানার দালালী, বিরোধপূর্ণ জমি দখল, এলাকার সচ্ছল ব্যাক্তিদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, বিচারের নামে দু’পক্ষের টাকা আত্মসাৎ করাসহ এমন কোনো দুঃসাহসী অপকর্ম নেই যা সে করেনি ইতিমধ্যে। এমনকি নিজেকে কখনো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এজেন্ট, কখনো আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্টজন পরিচয়ে রাতারাতি টাকার কুমির বনে যাওয়া জেলাজুড়ে অন্তহীন আলোচনায় থাকা কথিক পাওয়ার আলী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিসহ দেশ বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশ্বস্ত তল্পিবাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে এই প্রতারক। থানা অথবা দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন অভিযোগের পাহাড় তার বিরুদ্ধে জমা পড়লেও সেসব ব্যাপারে একেবারেই বেপরোয়া এই দুর্ধর্ষ প্রতারক।

এতক্ষণ যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন- কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের গোলারপাড়া গ্রামের দরিদ্র নৌকার মাঝি ইলিয়াস প্রকাশ ওরফে কালু মাঝির ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ওরফে পিওন আলী। গেল কয়েক বছর আগে তার এইসব প্রতরণা বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে কিছু গা-ঢাকা দেন এই পাওয়ার আলী। এভাবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যখন যেভাবে যা করার তা করে আসছে এই দুর্ধর্ষ প্রতারক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে নস্যি সাধারণ মানুষ তার কাছে কিছুই নয়।

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলেও তার বোন শেখ রেহানার গড়ে তোলা অবৈধ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে।কথিত এই পুলিশ হেডকোয়ার্টার অতীতে বদলি,পদায়ন ও পদোন্নতির বাণিজ্যে জড়িত থাকলেও বর্তমানে এটি দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত বলে জানিয়েছে সূত্র।

কথিত পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রধান হলেন “বিশ্ব প্রতারক” খ্যাত কক্সবাজারের এক আলোচিত ব্যক্তি।তার নাম ছৈয়দ মুহাম্মদ আলি, ওরফে আলি ভাই, ওরফে পাওয়ার আলি,ওরফে পিয়ন আলি। তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপি নেতা রাশেদ মুহাম্মদ আলির বাড়ির একসময়ের গৃহকর্মী। তাছাড়াও রাশেদের বাবা কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ আলীর পিয়ন হিসেবেও কাজ করেছেন পাওয়ার আলি।

পাওয়ার আলী কক্সবাজার মানুষ এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে পরিচালিত হয়ে আসা এই আলোচিত পুলিশ হেডকোয়ার্টারকে বাংলাদেশ পুলিশের বদনাম বলা হয়।

পুলিশ সূত্র বলছে, ক্ষমতায় ফেরার আশায় বিএনপি নেতার এই গৃহকর্মী আলির দ্বারস্থ হয়েছেন স্বয়ং শেখ হাসিনাও। মূলত রাজনীতির বাইরে থাকার কারণে আলিকে সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহের চোখে দেখবে না এমন ধারণা থেকে তাকে ব্যবহার করছেন শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে পাওয়ার আলি। সম্প্রতি আলি পুলিশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকে শেখ হাসিনা ও রেহেনার পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করছেন।

জানা গেছে, তিনি ইতোমধ্যে পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সেই সময়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন, যা পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি আলি পুলিশে পরিচিতদের জনে জনে চায়ের দাওয়াত দিয়ে রাজধানী ঢাকার মুহাম্মদপুর এলাকায় ডেকে নিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার প্রতিবিপ্লবের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তার (আলির) মোবাইলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এক ভুয়া সেনাপ্রধানের কল আসে। রিং আসার সঙ্গে সঙ্গে আলির মোবাইলের স্ক্রিনে সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামানের ছবি ভেসে ওঠে।

তখন আলি বলেন, “চুপ, চুপ! সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান সাহেবের কল এসেছে।” এরপর ভুয়া সেনাপ্রধান আলির স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন এবং তার কার্যক্রম সঠিকভাবে এগুচ্ছে কিনা তা জানতে চাচ্ছেন। আলি তখন ভুয়া সেনাপ্রধানকে বলতে শোনা যায়, “আজকেও অনেক পুলিশ এসেছে, তাদের কাছে আমি ছোট আপা ও বড় আপার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।” ভুয়া সেনাপ্রধান তখন বলেন, “তাদেরকে বলবেন আমি সঙ্গে আছি, ভয় নেই, খুব শিগগিরি আমরা আপাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।

প্রতিবিপ্লবের পক্ষে কাজ করার শপথ নিয়েছেন। সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় খুব কান্নাকাটি করেছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

একটি বিশেষ সূত্রের দাবি, এসব পুলিশ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের নিয়ে একটি গেরিলা বাহিনী গঠনে কাজ করছেন আলি। ইতিমধ্যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতায় তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ও সেনাবাহিনী, র‍্যাব এবং তখন আলি বলেন, “চুপ, চুপ! সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান সাহেবের কল এসেছে।” এরপর ভুয়া সেনাপ্রধান আলির স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন এবং তার কার্যক্রম সঠিকভাবে এগুচ্ছে কিনা তা জানতে চাচ্ছেন। আলি তখন ভুয়া সেনাপ্রধানকে বলতে শোনা যায়, “আজকেও অনেক পুলিশ এসেছে, তাদের কাছে আমি ছোট আপা ও বড় আপার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।” ভুয়া সেনাপ্রধান তখন বলেন, “তাদেরকে বলবেন আমি সঙ্গে আছি, ভয় নেই, খুব শিগগিরি আমরা আপাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।

প্রতিবিপ্লবের পক্ষে কাজ করার শপথ নিয়েছেন। সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় খুব কান্নাকাটি করেছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

একটি বিশেষ সূত্রের দাবি, এসব পুলিশ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের নিয়ে একটি গেরিলা বাহিনী গঠনে কাজ করছেন আলি। ইতিমধ্যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতায় তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ও সেনাবাহিনী, র‍্যাব এবং পুলিশের পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে। বাহিনীর পরিচয়ে দেশে বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা করার লক্ষ্যে এ কাজ করা হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগ নেতাদের তথ্যমতে, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কক্সবাজারে প্রভাবশালী মুহাম্মদ আলি পরিবারের  হয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে গিয়ে ধীরে ধীরে পাওয়ার আলির উত্থান ঘটে। প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও তার গৃহকর্তার নামের মিল থাকায় প্রতারনার মাধ্যমে নিজেকে মুহাম্মদ আলি হিসেবে পরিচয় দেন আলি। সাবেক আইজিপি নুর মুহাম্মদ এর এক আত্মীয়কে মামলার কাজে সহযোগীতা করতে গিয়ে পরিচয় হয় নুর মুহাম্মদের সঙ্গে। এরপর শুরু হয় তার পুলিশে প্রভাব।এই কারনে পরিচিত লাভ করেন পাওয়ার আলি হিসেবে।

২০১৫-১৬ সালে কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজারে থাকা অবস্থায় আমি দেখিছি, ওপরে নির্দেশে পাওয়ার আলির কথা মতো সদরসহ জেলার বিভিন্ন থানায় শত শত মানুষকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। আলির বাড়িতে সদর থানার সিসি ক্যামরার

সংযোগ রয়েছে।তিনি বাসায় বসে পুলিশের কার্যক্রম তদারকি করতেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে কক্সবাজার সদরের পিএম খালী এলাকায় ২০২২ সালে রমজান মাসে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মুর্শিদ বলি  নামের এক ব্যক্তিকে। এসময় হত্যাকারীরা ওপরের (পাওয়ার আলির) নির্দেশে তাকে হত্যা করা হচ্ছে বলে ঘোষণা দিলে ভয়ে মানুষ সরে যায়।  ভুক্তভোগী পরিবার পাওয়ার আলিকে আসামী করে এজহার দিলেও জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা পুলিশেকে আলির নামে মামলা নিতে দেননি।

২০১৮ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিএনপির একজন প্রার্থী পাওয়ার আলির কাছে ছুটে যান। আলি সেনাপ্রধানের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে ওই প্রার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন।

২০১৪ সালের মাঝামাঝি ভ্রমণের কথা বলে কক্সবাজারে আসেন শেখ রেহেনার পুত্র সিদ্দিকী ববি। তিনি তারকা মানের হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইসে উঠেন। এসে প্রতারক বিএনপি নেতার গৃহকর্মী আলির খোঁজ করেন, যা সবাইকে অবাক করে।

হোটেলের তৎকালীন পাবলিক রিলেশন অফিসার মোঃ আলমগীর বলেন, ববি হোটেলে উঠার পর ছৈয়দ মুহাম্মদ আলি নামের একজনকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকেন। তাকে খুঁজার জন্য একে একে আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককেও ডেকে আনেন ববি। এক পর্যায়ে আলিকে খুঁজে বের করা হয়। দেখা যায়, আলি কক্সবাজারের এক বিএনপি নেতার বাড়ির গৃহকর্মী । এ কারণে সবাই অবাক হয়। আলি হোটেলে এলে তার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন ববি। তবে তাদের মাঝে কী বিষয়ে কথা হয় সেটা জানা যায়নি। এর আগে শেখ রেহেনা লন্ডন থেকে ফোন করে আলির খোঁজ করলে রীতিমত হৈচৈ পড়ে যায়।

কক্সবাজার জেলা জুড়ে ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় ক্লিন ইমেজ হওয়ার কারণে বিএনপি নেতা রাশেদ মুহাম্মদ আলি পরিবারের সহায়তা নেন।

এর সূত্র ধরে গৃহকর্মী আলির সঙ্গে প্রশাসনের মহারথীদের পরিচয় হয়।

এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারে আসা যুক্তরাজ্যের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার মাদক ও নারী সাপ্লাই  দিতেন গৃহকর্মী আলি। এতে খুশি হয়ে যুক্তরাজ্যের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা আলির কাছে তার স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চান। আলি জানান, লন্ডন দেখার খুব ইচ্ছা তার। এরপর স্বপ্ন পূরণে পাওয়ার আলিকে লন্ডন ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়।

লন্ডন এয়ারপোর্টে আলি পৌঁছালে তাকে রিসিভ করতে আসেন যুক্তরাজ্যের একদল সেনা কর্মকর্তা। একই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহেনা। একজন বাঙালিকে এভাবে সেনা কর্তৃক রিসিভ করার দৃশ্য দেখে শেখ রেহেনার চোখ কপালে উঠে। এরপর লন্ডন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ রেহেনার রেফারেন্স দিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ফোন করে আলির সম্পর্কে জানতে চান। এরপর থেকেই আলির ক্ষমতা প্রচার করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা তার কাছে হাজিরা দিতে শুরু করেন। তবে আলি সত্যি সত্যি লন্ডন গিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি প্রতিবেদক।

কক্সবাজার জেলা বিএনপি নেতা রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, গৃহকর্মী আলীর ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার গল্প। তিনি বলেন, এক এগারোর সরকারের সময়, কাকতালীয় ভাবে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে তাঁর সখ্যতায় সে কথিত “পাওয়ার আলী” হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। বিশেষ করে সদ্য গ্রেফতারকৃত ঢাকায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামী সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের সাথে গভীর সম্পর্কের কারণে সে পুলিশের মধ্যে বেশ প্রভাব রাখতো। আইজিপি শহিদুল হকের সময় পুলিশের পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্যে জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাঁর নাম শুনেছি।

রাশেদ মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, “ আমার বিরোধী দলীয় রাজনীতির সুযোগে পুলিশকে ব্যবহার করে গৃহকর্মী আলী আমাদের পরিবারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান সড়কস্থ আমাদের একটি মার্কেট কৌশলে দখল করে রেখেছিল অনেকদিন।  এই আলীর অনুগত কক্সবাজার মডেল থানার তৎকালীন ওসি ফরিদ উদ্দিন, এসআই রহিম, এসআই আরিফ উল্লাহ, এসআই দীপক সিংহ সহ আরো অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে আমাকে ক্রসফায়ার, গ্রেফতার সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকির মধ্যে রাখতো। যাতে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। এভাবে বিভিন্ন প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এই কথিত পাওয়া আলী হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছে।”

বিষয়টিকে রাষ্ট্রবিরোধী বড় অপরাধ হিসেবে দেখছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। এটি শুধু পুলিশের বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নয়, বরং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে আলিসহ যারা যারা নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই অবৈধ পুলিশ হেডকোয়ার্টার শুধু বদলি বা বাণিজ্যের জন্য নয়; এখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, যেহেতু এখানে সেনাপ্রধানকে জড়িত করে নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তাই তাদের এখনই প্রতিহত ভাবে ভেঙে পড়ি। এভাবে বিভিন্ন প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এই কথিত পাওয়া আলী হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছে।”

বিষয়টিকে রাষ্ট্রবিরোধী বড় অপরাধ হিসেবে দেখছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। এটি শুধু পুলিশের বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নয়, বরং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে আলিসহ যারা যারা নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই অবৈধ পুলিশ হেডকোয়ার্টার শুধু বদলি বা বাণিজ্যের জন্য নয়; এখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, যেহেতু এখানে সেনাপ্রধানকে জড়িত করে নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তাই তাদের এখনই প্রতিহত করতে হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাওয়ার আলির ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে,আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে অবৈধ পুলিশ হেডকোয়াটার গড়ে বানিজ্যের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এবং শেখ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়টি অস্বীকার করে তার জন্য সংবাদ প্রকাশ করলে প্রতিবেদকের ওপরে আল্লাহর গজব পড়বে বলে জানান আলি।

কক্স টিভি, কক্সবাজার।