আজ, বৃহস্পতিবার | ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় গণমিছিলকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সভাপতির বাড়িতে গুলিবর্ষণ

চকরিয়া প্রতিনিধি:
বিএনপি  কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ২৫আগস্ট’২২ (বৃহস্পতিবার) জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এবং সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রনেতা নূরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদু রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে চকরিয়ায় সকাল ১০টায় বিশাল গণমিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এজন্য দলীয় ভাবে যাবতীয় আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আগেরদিন দিবাগত রাত ২টা থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমন অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাংবাদিক এএম ওমর আলী।
তারা জানিয়েছেন, ২৫আগষ্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে কাকারা ইউনিয়নের পুলের ছড়া ব্রীজের উপর থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে মুখোশ পরিহিত আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী।
এরপর রাত আড়াইটায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরিষদ সংলগ্ন চকরিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরীর বাড়িতেও  হামলা ও ৩রাউন্ড গুলি ছুড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড মাষ্টারপাড়া,কোচপাড়া, ১নং ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া ও ফাঁসিয়াখালী রাস্তার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের আধারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরের দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এনিয়ে বিএনপি নেতারা কৈয়ারবিল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। তারা প্রশাসনের কাছে অভিলম্বে মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার আইনের আওতায় আনার জন্য আহবান জানান।
চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাংবাদিক এএম ওমর আলী আরো বলেন, মুখোশ পরিহিত আওয়ামী সশস্ত্র বাহিনীর সাথে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা কিছু দলীয় লোকও ছিল। পুলিশের এসব ইউনিফর্ম দেখে রাতের আধারে তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেনি। অন্যথায় দলীয় নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় জনসাধারণ গুলি বর্ষণকারীদের চতুর্দিক থেকে ধাওয়া করে আইনের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট হতো। রাতের গুলি বর্ষণের ঘটনার কারণে বড়ধরণের অনাকাংঙ্খিত ঘটনার আশঙ্খায় তারা দিনের বেলার শান্তিপূর্ণ গণমিছিল কর্মসূচিও স্থহিত করেছেন। তারা বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম জানান, বিএনপি নেতাদের বাড়িতে রাতে গুলি বর্ষণের ঘটনার সময় পুলিশের কোন বাহিনী ছিলনা। তারা মৌখিকভাবে অভিযোগ অভিযোগটি পেয়েছেন। লিখিত না পেলেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছেন বলে জানান।