আজ, মঙ্গলবার | ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় গৃহবধুর রহস্যজনক আত্মহত্যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমিনা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলার রহস্যজনক গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজী পাড়া গ্রামে ১৪ আগষ্ট (বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত আমিনা বেগম লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় বাদশা মিয়ার ২য় স্ত্রী ও পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা।

অভিযোগে নিহতের ভাই নুরুল কাদের কাজল ও রুহুল কুদ্দুছ জানান, তাদের বোন আমিনা বেগমের স্বামী মারা যায়। এরপর বিগত ৫বছর পূর্বে ২য় স্বামী হিসেবে ইসলামি শরীয়ত মতে বিয়ে করেন ফাইতং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় বাদশা মিয়াকে। বাদশা মিয়ারও ২য় বিয়ে। পূর্বে তার স্ত্রী মারা যায়। স্বামীর পূর্বের সংসারে ছেলে-মেয়ে বড় হয়েছে। ২য় স্বামীর নামে ফাইতংসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য জায়গা-জমি রয়েছে। বিয়ের পর স্ত্রীকে ২কানি জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার ওয়াদা করে আসলেও পূর্বের স্ত্রীর ঘরের সন্তানরা (সৎ মেয়ে) বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সম্পর্ক ভালো থাকলেও জমি দানে কোন মতেই রাজী নয় তারা। সৎ মেয়ে শাহানা বেগমের শ্বশুর বাড়ি লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজী পাড়া গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে রান্না ঘরের চালের গাছের বীমের সাথে টাঙ্গিয়ে রাখে। তাৎক্ষনিকভাবে নিহতের পিতৃালয়ের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ দেখতে পান নিহত গৃহবধু আমিনা বেগমের পা মাটির সাথে লাগানো। মুখের জিব্বাহও বের হয়নি। অথচঃ গলায় ফাঁস লাগানো মৃত দেহের জিব্বাহ বের হয়ে যায়। তাই এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। তাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারাসহ স্থানীয়রা দেখেছেন।পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে ১৫ আগষ্ট বিকাল ৪টায় পিতার বাড়ি পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মসজিদ কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচার প্রাথনা করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।