আজ, বৃহস্পতিবার | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, সন্দেহজনক  ৮জন আটক, বিচারের দাবীতে প্রতিবাদে উত্তাল

কফিল উদ্দিন,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ধিগ্ধ ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলো—বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের মো. ইছহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালীপাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮) ও ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালী বাজারপাড়ার জিয়াবুল করিমের পুত্র তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের পুত্র সজীব (২৫), বদরখালী টুটিয়াখালী পাড়ার বশির আহমদের পুত্র ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫), দাতিনাখালী পাড়ার আবু ছালেহ’র পুত্র অমিত হাসান (২৫) ও পূর্ব লম্বাখালী পাড়া গ্রামের গোলাম কাদেরের পুত্র
তারেকুর রহমান।
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে চকরিয়া ও মহেশ খালীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ছাত্র জনতা বিক্ষোভ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানায়, গত রোববার ওই কিশোরী বদরখালী স্টেশন থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে মহেশখালী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি বদরখালী সেতুর ওপর গেলে গাড়ি নষ্ট হওয়ার বাহানা দিয়ে চালক তাকে নামিয়ে দেয়। সেতু পার হওয়ার সময় দু’জন তার পথ রোধ করে। পরে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ধারালো ছুরি দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে সেতুর পাশে বেড়িবাঁধের প্যারাবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

কিশোরীর পরিবার আরও জানায়, সে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছেন। আতঙ্ক ও ভয়ে এখনো কাঁপছে সে।

এদিকে এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের বদরখালী সেতু এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। ফলে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

থাবার ওসি আরও বলেন, ‘কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম রকীব উর রাজা বলেন, ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।
অপরদিকে, চকরিয়ায় বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এনজিও সংস্থার ব্যানারে মঙ্গলবার বিকেলে পৌর সদরে মানববন্ধন করেছে। এতে এনজিও প্রতিনিধি বৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, একলাব, সাহাব উদ্দিন, কেয়ার বাংলাদেশে, বদরুন নাহার কলি, সুজন, শেখ মো. ওবায়দুর রহমান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, মিফতা বিনতে ইউসুফ ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, মো: রফিকুল ইসলাম, জিজেডি, ব্র্যাক, মোঃ সাইফুল ইসলাম সোশ্যাল এন্ড ইকোনমিক ইনহ্যান্সমেন্ট ‌প্রোগ্রাম-সিপ, ক্ল্যাসিটা ক্লারা রোজারিও (আনন্দ থেকে, ট্রেনিং অফিসার)সহ এনজিও প্রতিনিধিগন। তারা ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন