কফিল উদ্দিন,চকরিয়া :
চকরিয়ার বদরখালী গোয়ারফাঁড়ি মৎস্য জোনে চাঁদা দাবি করে মৎস্য প্রকল্পে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছ।
চকরিয়া থানাধীন বদরখালী মৌজার আরএস ৮৫১নং খতিয়ানের বি.এস ৪নং খতিয়ানের বি.এস ১২৩৯নং দাগের বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন গোয়ারফাঁড়ি মধ্যম অংশ নামক এলাকায় গত ৩১ডিসেম্বর’২৪ইং রাত ৩ঘটিকা থেকে ১জানুয়ারী বিকেলে পর্যন্ত সময়ে ঘটেছে এ ঘটনা। এ নিয়ে বদরখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নতুন ঘোনা গ্রামের
ইজারাদার মো: নুরুন্নবীর পুত্র মো: হানিফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখত এজাহার দায়ের করেছেন। এতে বিবাদী করা হয়েছে আবদুল আজিজ (৩৬), পিতা- জামাল উদ্দিন, মো: রবিউল (৩৮), পিতা- আবদুল মালেক, শাহজাহান (৩৮), পিতা- কামাল উদ্দিন, মো: আরকান (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, তহিদুল ইসলাম (২৮), পিতা- মৃত আবদু শুক্কুর,মো: রিদুয়ান (৫২), পিতা- মৃত কালু
মিয়া, কুতুব উদ্দিন (৪৫), পিতা- আলী আহমদ, নজরুল ইসলাম (৪০), পিতা- নুরু সালাম, শুকুর (৩৫), পিতা- তমিজ উদ্দিন, মোঃ এখলাছ (৩৬), পিতা- আবু মুছা, মো: ভূট্টো (৩৫), পিতা- আবদু জব্বর, আবুল কালাম (৪৩), পিতা- মো: নাগু, মোঃ ইকবাল (৩৫), পিতা- আবদুল মালেক, সর্বসাং- আহমদ কবির ঘাটা, নয়াপাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- বদরখালী, উপজেলা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী।
বাদী তার অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি একজন মৎস্য চাষী। নিজ, পৈত্রিক ও ইজারা মুলে মৎস্য প্রকল্পের মালিকানা অর্জন করে মৎস্য চাষসহ জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অভিযোগে উল্লেখিত আসামীগণ অবৈধ অস্ত্রধারী, দলবদ্ধ সন্ত্রাসী, মাস্তান, দাঙ্গা-হাঙ্গামপ্রিয়, ভূমিদস্যু ও
চাঁদাবাজ এবং আইন অমান্যকারী ও হাঙ্গামাকারী।
ঘটনাস্থলের মৎস্য প্রজেক্ট বাদীর পিতার নামে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির কাছ
হইতে ইজারা নিয়ে বিগত ২০/২২ বছর যাবৎ মৎস্য চাষ করিয়া আসছেন। প্রতিবছরের ন্যায় চলতি বছরও তারা লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে মৎস্য চাষ করেছেন। কিন্তু সমিতি কর্তৃপক্ষ উক্ত মৎস্য প্রজেক্ট ২০২৪-২০২৫ সনের জন্য তাদেরকে ইজারা প্রদান করিলেও ২০২৫ইং সনে অন্যত্রে ইজারা দিলে, তার পিতা সমিতি বরাবরে পূণ:রায় আবেদন করে প্রতিকার না পাওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং- ১৪৬১৮/২০২৪ইং দায়ের করেন। যাহা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সন্তোষ্টিক্রমে স্ট্রে প্রদান করেন। কিন্তু আসামীগণ সন্ত্রাসী কায়দায় দূর্লোভের বশীভূত হয়ে তাদের কাছ থেকে নতুন করে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মৎস্য প্রজেক্ট হতে দখলচ্যুত করে
মাছ ও মালামাল লুট-পাট করার এবং রক্তক্ষয়ী ঘটনা করার প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে
আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন গত ৩১ডিসেম্বর’২৪ইং রাত অনুমানিক ৩ ঘটিকার
সময় আসামীগণ সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কাঁয়দায় হাতে দেশীয় মারাত্মক অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে মৎস্য প্রজেক্টে অনুঃপ্রবেশ করে মৎস্য প্রজেক্টে জাল মেরে রুই, কাতাল, কার্প, বিগ্রেট, নাইলেটিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০মণ মর্দা মাছ, যাহার আনুমানিক মূল্য ৫,৪০,০০০ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। অদ্য ১ জানুয়ারী বিকেল পর্যন্ত মাছ লুটপাটে রত আছে।ঘেরে তাদের কর্মচারীরা আসামীগণকে বাধা দিলে,
আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাহাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে, সম্পূর্ণ মাছ লুট করে নিয়ে কর্মচারীদেরকে প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক তাড়াইয়া দেয়। বর্তমানেও আসামীগণ স্ব-শস্ত্রে মহড়া অব্যাহত রেখেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভূইয়া জানান, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc