আজ, শনিবার | ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার কোনাখালীতে মৎস্য পদ্ধতি থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট, অভিযোগ দিদার চেয়ারম্যান বাহিনীর বিরুদ্ধে 

চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ার কোনাখালীতে চেয়ারম্যান দিদারের নেতৃত্বে মৎস্য পদ্ধতিতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।এতে পদ্ধতি মালিকের ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ ও মালামাল লুট ও ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাংলা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে কোনাখালীর ঘোনা এলাকায় গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ঘটে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় পদ্ধতি মালিক কোনাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোনাখালী ইউসুপের বাপের পাড়া গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের পুত্র মেহেদী হাসান রুবেল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় লিখত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; একই এলাকার মৃত শাহাদাত আলীর পুত্র কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল হক, নাছির উদ্দিনের পুত্র আখিরোজ, মোঃ আবছার ও মোঃ ইমন, আবদুচ ছালামের পুত্র মোঃ বাদল, মোঃ ইসমাইল প্রকাশ  ইসহাকের পুত্র  মোঃ লাকিল প্রকাশ লাকু ও মজিদ প্রকাশ পুতু,মোঃ ইয়াছিনের পুত্র মোঃ সুমন ও মোঃ মামুন, মোঃ হান্নানের পুত্র দিল মোহাম্মদ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে।

বাদী মৃত গোলাম কাদেরের পুত্র মেহেদী হাসান রুবেল অভিযোগে জানান, তার পৈত্রিক এবং খরিদ সূত্রে প্রাপ্ত কোনাখালী ঘোনা মৌজার জমাভাগ ৬২৯ নং খতিয়ানের বি.এস ১৬২ নং দাগের সাড়ে ৩ কানি জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল ও মাছ চাষের পদ্ধতি করে আসছেন। যাতে মাছ চাষে প্রচুর পরিমাণ টাকাও বিনিয়োগ করেন। মৎস্য পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য বড় হয়ে ধৃত করার উপযোগী হয়েছে। আসামীরা তাতে ঈর্ষান্বিত ও দূর্লোভের বশে মৎস্য চাষে বাঁধা প্রদান সহ অন্যায়ভাবে চাঁদা দাবী করলে তৎ অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে মামলা নং সি.আর ৩০১/২০২৪ ধারা ৩৪১/৪৪৭/৩৮৫/৫০৬(২) দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে। তারই আক্রোশে ঘটনার দিন গত ২৪ ডিসেম্বর রাত  ৮ ঘটিকায় অভিযুক্ত আসামীরা আরো সন্ত্রাসী ভাড়া এনে অবৈধ অস্ত্র ও ধারালো কিরিচ, লোহার
রড, লোহার হাতুড়ী, চাইনিজ কুড়াল, মাছ ধরার ও বহনের জাল ও কন্টিনার, বাঁধ কাটার কোদালসহ মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত মৎস্য চাষের পদ্ধতিতে ঢুকে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরে লুট করে। এ সময় বাদীর মাতা ছাবেকুন্নাহার(৫৫) ও স্ত্রী রুজি হাসান(২৮) টর্চের আলোতে দেখতে পেয়ে তাদের বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করে। এ সময় তাদেরকে মারধরে গুরুতর আঘাত ও প্রাণ নাশের হত্যার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মাছের পদ্ধতির পাঙ্গাস মাছ ১২০০ কেজি মূল্য ২,১৬,০০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০০ কেজি মূল্য ৩,০০,০০০ টাকা ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫০০ কেজি মূল্য ১,৫০,০০০ টাকা সহ ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে কন্টিনারে ভর্তি করত: পিকআপ গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। এছাড়াও আসামীগণ মাছের পদ্ধতিতে এলোপাতাড়ী জাল টেনে আরো ২০,০০০/- টাকার অধিক ক্ষতিসাধন করে। আসামীগণ মৎস্য ধৃত করার পূর্বে কোদাল দিয়ে মৎস্য পদ্ধতির দক্ষিণ পূর্ব পার্শ্বের বাঁধও কেটে দেয়। পরে স্থানীয় লেকজন ও জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শক করে।
বাদী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন,  বিগত সাড়ে ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারী আমলের দূর্দশ সন্ত্রাসী ও অসংখ্য দখল বেদখলে নেতৃত্ব দেয়া কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল হকের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এসব অন্যায় ও অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে। তিনি ধরাকে সরা ভাবেম। অবৈধ আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার পতন হলেও তার অপরাধ ও অপকর্ম এখনো থামেনি। হত্যাসহ অসংখ্য মামলায় পলাতক আসামি হলেও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরদর্পে। তার দখলবাজ সিন্ডিকেট এখনো বেপরোয়া। তাই প্রশাসনের কাছে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার চেয়েছেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভূইয়া জানান, উল্লেখিত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাতামুহুরি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  আরো সংবাদ