আজ, মঙ্গলবার | ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



তিন সমন্বয়ককে আটক, কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তিন জনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্য দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তিন জনকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিকেলে আসিফ মাহমুদ একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে, নাহিদ আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। ওয়ার্ডের সামনে হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছে তারা। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

এর আগে আব্দুল হান্নান মাসুদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক টিমের একটি প্রতিনিধি দল উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুক্রবার ৪টা ৫০ মিনিটে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখার জন্য পরিদর্শন করার কথা জানান। এরপর সর্বশেষ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তারা পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বলেন, আমরা মানসিক ট্রমায় আছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বাজে অবস্থায় আছি। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে না দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বের হতে হবে। আমরা এখন উত্তরায় আছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে নেওয়াসহ সরকারকে চার দফা দাবিতে দুই দিন আগে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এদিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।