গত ৮ জানুয়ারি ‘২৫ স্থানীয় দৈনিক আপনকণ্ঠ ও অনলাইন পত্রিকাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায়” চকরিয়া জমজম হাসপাতালে ডাঃ ফয়জুর রহমানের
অপচিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এ বিষয়ে জমজম হাসপাতালের এ জি এম মুহাম্মদ নুরুল আবছার জনাব ডাঃ ফয়েজুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকৃত ঘটনা বর্ণনায় বলেন, গত ১৯. ১২.২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় রোকসানা আক্তার, স্বামী মোঃ আনিসুর রহমান নামে এক রোগী প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম হাসাপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ ফয়জুর রহমান সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন । ডাঃ মোঃ ফয়জুর রহমান সাহেব রোগীর যথারীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন । সে অনুযায়ী রোগী ভর্তি হন । ডাঃ ফয়জুর রহমান সাহেব এবং কর্তব্যরত নার্সগণ নিয়মিত রোগির ফলোআপ করেন । এক পর্যায়ে রোগীর গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তা বিবেচনা করে রোগী ও তার অভিভাবকদেরকে ডাক্তার সাহেব সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন । কিন্তু রোগী এবং তাঁর সঙ্গী সাথীগণ সিজারিয়ান অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন । তাঁরা নরমাল ডেলিভারি করার জন্য ডাক্তার এবং নার্সদেরকে বার বার অনুরোধ করেন। তারা বলেন, যেভাবেই হোক আমাদের রোগী নরমাল ডেলিভারি করতে হবে । ডাঃ ফয়েজুর রহমান রোগীকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে রোগীকে অন্যত্রে চিকিৎসা নিতে বলেন। কিন্তু রাত তিনটার দিকে রোগীর প্রসব বেদনা বেড়ে যাওয়ায় ডাঃ ফয়জুর রহমান সাহেব ও কর্তব্যরত নার্সের সহায়তায় একটি মেয়ে বাচ্চা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে প্রসব করেন । ওই সময় নবজাতকের সু-চিকিৎসার জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাতে পরামর্শ দেওয়া হয় । পরামর্শ মতে তাঁরা জমজম হাসাপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখান এবং ডাক্তার নবজাতকের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন এবং আরোও উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন । পরবর্তীতে যথারীতি নবজাতককে চট্টগ্রামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন । বেশ কিছু দিন পর চিকিৎসারত অবস্থায় নবজাতক মৃত্যু বরণ করেন । এই ঘটনাকে কোন একটি মহল উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পায়তারা করছেন। যা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত।
প্রকৃত বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচার না হলে, কোন ডাক্তার অদুরভবিষ্যতে মানবিক কারণে আর এগিয়ে আসবেন কিনা সন্দেহ আছে। জমজম হাসপাতালের এ জি এম মুহাম্মদ নুরুল আবছার আরো বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ থাকলে তখনই প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০ দিন পর কেন। প্রচার আছে প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে সর্বদা নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজারের প্রতি ডাক্তারদের বেশী আগ্রহ থাকায় রুগীদের ভুগান্তি বেশী হয়। কিন্তু আনিসুর রহমানের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন। তাই প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ নিয়ে প্রশাসন ও এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং প্রচারিত সংবাদ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।