আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



কুতুবদিয়ার আদি ও ঐতিহ্য ‘পরান সিকদার বংশ পরিচয়’ গ্রন্হের মোড়ক উন্মোচন ;;

কুতুবদিয়ার আদি ও ঐতিহ্য ‘পরান সিকদার বংশ পরিচয়’ গ্রন্হের মোড়ক উন্মোচন ;;

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

সিকদার হলো একটি পদবি। সিকদার বংশের উদ্ভব প্রায় ১৩শত খ্রিস্টাব্দে বা সুলতানি আমলের সময়।
কুতুবদিয়ার আদি ও ঐতিহ্য ‘পরান সিকদার বংশ পরিচয়’ গ্রন্হের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো গত (১০ সেপ্টেম্বর) জুমাবার।
পরান সিকদারপাড়া জামে মসজিদ মাঠে বংশের ৬ষ্ট প্রজন্ম দুদক কুতুবদিয়া উপজেলা সেক্রেটারি আসাদ উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বংশের ৬ষ্ট – ৯ম প্রজন্মরা উপস্হিত ছিলেন।
আলহাজ্ব ডাঃ মুহাম্মদ কাশেম সিকদার রচিত ও সাংবাদিক হুমায়ুন সিকদার সম্পাদিত গ্রন্হের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

গ্রন্হের সম্পাদক হুমায়ুন সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বংশের সপ্তম প্রজন্ম কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী মানবাধিকার নেতা মনোয়ারুল ইসলাম চৌং মুকুল, ইসলামী গবেষক মাঃ জামাল উদ্দিন আহমদ, ৬ষ্ট প্রজন্ম সাবেক মেম্বার আবু তাহের, ৭ম প্রজন্ম আবুল কালাম, ৮ম প্রজন্ম আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ সিকদার, ( বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলা সংলগ্ন এলাকায় বিডিআর হারুন নামে পরিচিত) মনজুর আলম সিকদার, ( কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনার পাড়ায় বসবাসরত সমাজপতি ও রাজনীতিবিদ) মাঃ ইসহাক কুতুবী, কামরুল হাসান রিজভী ও এ.কে.এম রিদওয়ানুল করিম ও শওকত আলম অনুভূতি প্রকাশসহ বংশের ইতিহাস – ঐতিহ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ সিকদার বংশের প্রজন্ম যারা বসবাস করছেন সকলেই ওইদিন উপস্থিত ছিলেন।
এক আবেগঘন ও উচ্ছসিত পরিবেশ বিরাজ করছিলো অনুষ্ঠানে বংশের পরম্পরায়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্হের রচয়িতা আলহাজ্ব ডাঃ মুহাম্মদ কাশেম সিকদার।
গ্রন্হে ২-৩ শ বছরের বংশের ১ম থেকে ১০ম প্রজন্ম পরিচিত ও ইতিহাস স্হান পায়।

উল্লেখ্য যে, বৃটিশ আমলে কুতুবদিয়ায় পরান সিকদার বাড়িতে প্রথম কুতুবদিয়া থানা ও পোস্ট অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তর ছিলো।
বর্তমানে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও ( মেডিকেল) সিকদার বংশের জায়গায় অবস্থিত।
১৩শ সালে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়ায় সুফি – সাধক কুতুবউদ্দিন আউলিয়া বসতি স্থাপন করে বলে জানা যায়।
এনামেই কুতুবদিয়া নামকরণ করা হয়।

বর্তমানে এ দ্বীপের বয়স ৮শ বছর পেরিয়ে গেলেও যোগাযোগ ব্যবস্হা সেকেলে !
দ্বীপবাসীর দাবি চতুর্পাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পারাপারে ফেরি সার্ভিস চালু বা ভাসমান সেতু স্থাপন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান সরকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে।
যে-কোনোভাবে ফেরি সার্ভিসও চালুর জন্য সরকারের কাছে ভুক্তভোগী উপকুলীয়
জনগোষ্ঠীর দাবি ও প্রত্যাশা।