আজ, মঙ্গলবার | ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় মাদরাসা শিক্ষক নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত০৮/১০/২০২৪ইং দৈনিক গণসংযোগসহ স্থানীয় পত্রিকায় (বার্তা পরিবেশক) বরাত দিয়ে “চকরিয়ায় এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ” শিরেনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা নুরুল আবছার ছিদ্দিকীকে সরানোর ষড়যন্ত্র করে খুন ও গুম করার হুমকি ধমকি প্রদান করা, আমার আগমন প্রস্থানে অনিয়ম ও বিধি বহির্ভুত ছুটি কাটানোর অভিযোগসহ যাবতীয় উক্তি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলত: আমার পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন আচরণ করা হয়নি। এছাড়া সুপারের দাবীকৃত জমি ক্রয়, মার্কেট নির্মাণ ইত্যাদি আষাড়ে গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব কিছু মূলত বিগত ১৯৮২ সালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র মাদরাসার প্রধান প্রতিষ্ঠাতা আমার মরহুম পিতা আলহাজ্ব মাওলানা বদরুদ্দোজা হেলালী (রহঃ) এর নেতৃত্বে তৎকালীন সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে তীলে তীলে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে। অতএব এহেন মানহানীকর, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এধরণের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মুলত নিজের অপরাধ ও অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করেছেন, যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে; গত ৬ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরদিন যথারীতি আমি মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই কিছু নাম ফলক (স্মরণিকা) ওয়ালা টাঙ্গানো হয়েছে। যা ইতিপূর্বে কখনো ছিলনা। যাতে মাদরাসার প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সম্মানীত সুপার বৃন্দের নাম রাখা হয়নি। এ দৃশ্যটি দেখে আমি বিতর্কিত নাম ফলক (স্মরণিকা) সমুহ নামিয়ে ফেলে সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করিলে উপস্থিত সম্মানীত সকল শিক্ষকবৃন্দ সম্মতি প্রদান করেন। তাতে তিনি (সুপার) ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিনা কারণে চাকুরী হারানোর ভয় সহ নানাভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। অতপর আমি আর কোন কথা না বাড়িয়ে মাদরাসা ছুটি পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে আসি। সুপার নুরুল আবসার ছিদ্দিকী বিগত সরকারের সময় আওয়ামী দোষর ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত ছিল। কথায় কথায় শিক্ষকদের নাজেহালসহ চাকুরীচ্যুত করা ও মামলা দিয়ে হয়রাণী করার হুমকি দিতেন। বর্তমান সময়ে জনরোষে পড়ার ভয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার কুমানষে তিনি এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। উল্লেখ্যযে, অত্র মাদরাসার সম্মানীত প্রতিষ্টাতা ও সাবেক সুপারদের নাম স্মরণিকা ফলক থেকে বাদ দেওয়া সংক্রান্ত সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নিকট প্রক্রিয়াধানী (বিচারাধীন) আছে। ইউএনও মহোদয় সরে জমিনে তদন্ত করিলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে আমিসহ সকল শিক্ষকরা আশাবাদী। পরিবেশে উক্ত কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ এবং সংবাদ নিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী- আলহাজ্ব মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন হেলালী, সহকারি শিক্ষক, মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদরাসা, কোচপাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, কক্সবাজার।