চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বিনামারায় শুরু হতে যাচ্ছে “শেখ মোঃ শাহজাহান-পারুল বানু হেফখানা ও এতিমখানা”র শিক্ষা কার্যক্রম।
২০২৪ সালে কার্যক্রম শুরু করে ভিত্তি প্রস্তর দেয়া এতিমখানা ও হেফজখানান নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী জানুয়ারীর শুরুতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে অসহায় ও এতিম বাচ্চাদের আশ্রয়স্থল শেখ মোহাম্মদ শাহজাহান ও পারুল বানু হেফজখানা ও এতিমখানা। সম্পুর্ন বিনামূল্যে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন, এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা চকরিয়া ম্যাক্স হসপিটাল ভবনের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ পারভেজ । তিনি আরো জানান, এতিমখানায় ৫০-৬০জন শিক্ষার্থীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও আপাততে ২০জন এতিম বাচ্চা নেওয়া হবে। পাশাপাশি হেফজ বিভাগও চালু থাকবে।
হেফজখানা ও এতিমখানা ভবন নির্মাণের আগেই বিগত ২০২৩ সালে নিজেদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদে বায়তুল মামুর। মসজিদের পাশে রাখা হয়েছে কবরস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থান (জায়গা)। এক বছরের ব্যবধানে একদম পরিপাঠি সুন্দর একটি মসজিদ পায় এলাকাবাসী।
জানাগেছে, ৭০ কড়া জমি ওয়াকপ দিয়ে জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মসজিদে বায়তুল মামুর। একসাথে প্রায় ২/৩শত মুসল্লী নামাজ আদায় করা যায়। নিয়মিত জুমার নামাজও পড়ানো হয় ।
একটি আদর্শ সমাজ গড়তে উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ অগ্রনি ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা শেখ মোঃ পারভেজ একজন প্রচার বিমূখ ব্যক্তি। তিনি ম্যাক্স হসপিটাল ভবনের ভাড়ার একটি অংশ প্রতি মাসে উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের উন্নয়নে ব্যয় ও ইমাম-মুয়াজ্জিন, শিক্ষকদের বেতনের অংশ যুক্ত করেন। এলাকাবাসীরও রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতা।
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণঃ হেফজখানা ও এতিমখানার জন্য একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক (হাফেজে কোরআন) নিয়োগ দেওয়া হবে। থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা।
আরো উল্লেখ্যযে, চকরিয়া ম্যাক্স হসপিটাল ভবনের মালিক ও হেফজখানা-এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা জনাব, শেখ মোঃ পারভেজ নিজেই পরিচালক হিসেবে হেফজখানা-এতিমখানার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানাগেছে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc