কফিল উদ্দিন,চকরিয়া:
চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নে পূর্বের সঠিক মৃত্যু সনদের স্থলে নতুন করে কথিত মিথ্যা মৃত্যু সনদ দেয়ায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি কথিত ওই মৃত্যু সনদ নিয়ে জায়গা-জমি জবর দখলে নেয়ারও চেষ্টা চলছে।
এনিয়ে স্থানীয় কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবসহ জড়িত ৬জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগি কাকারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মাইজকাকারা গ্রামের মৃত মোঃ কালুর পুত্র মাশুক আহমদ গং বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিবাদীগন কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, ইউপি সচিব সাইফুল ইসলাম, মাইজ কাকারা দরগাহ রাস্তার মাথা গ্রামের মোঃ শফির পুত্র ছাবের আহমদ ও আশেক উদ্দীন, আলী আকবরের পুত্র মোঃ মুবিন, ৬নং ওয়ার্ডের প্রপার কাকারা গ্রামের মনোর আলমের পুত্র মোঃ ফরহাদকে। উল্লেখিত বিবাদীগণ কর্তৃক পরস্পর যোগসাজসে একই ব্যক্তিদের নামে পর পর দুই বার ভিন্ন ভিন্ন ধরণের অনলাইন মৃত্যু সনদ প্রচার করে জাল-জালিয়াতি ও জঘন্য মিথ্যাচার করায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্ত পুর্বক প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন ও জড়িত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
বাদী অভিযোগে জানান, ১নং বিবাদী সাহাব উদ্দিন কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও ২নং বিবাদী সাইফুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং অপরাপর বিবাদীগণ স্থানীয় কুটবুদ্ধি সম্পন্নকারী, ভূমিদস্যু, পরধন লোভী প্রকৃতির। কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের বিগত সময়ে (তৎকালীন) চেয়ারম্যান মোঃ আলী মনছুর কর্তৃক সরবরাহকৃত আমাদের (বাদী পক্ষের) পুর্ববর্তী আলীমুল্লাহর মৃত্যু তারিখ ১৫ডিসেম্বর’১৯৩২ইং সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। যার নিবন্ধন নং- ৭১৩, নিবন্ধন বহি নং- ১১১৮, সনদ ইস্যুর তারিখ- ২৩ফেব্রুয়ারী’১৬ইং, হামিদ আলী, মৃত্যু তারিখ ১০জুন’১৯৩৪ইং। নিবন্ধন নং- ৭১৪, নিবন্ধন বহি নং- ১১১৯, সনদ ইস্যুর তারিখ- ২৩ফেব্রুয়ারী’১৬ইং এবং হাকিম উল্লাহ মৃত্যু তারিখ ২মার্চ’১৯৩৬ইং। নিবন্ধন নং- ৭১৫, নিবন্ধন বহি নং- ১১২০, সনদ ইস্যুর তারিখ-২৩ফেব্রুয়ারী’১৬ইং। উক্ত মতে উল্লেখিত মৃত তিন ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য ২নং বিবাদী ইউপি সচিবের পরামর্শে ও তাহার মাধ্যমে বিগত ৭অক্টোবর’২০২৪ইং তারিখ অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়। যথাক্রমে- হামিদ আলীর মৃত্যুর
অনলাইন সনদ নং- ২০২৪২২১১৬৫৫৬০০৪১৫। আলীমুল্লাহর মৃত্যুর অনলাইন সনদ নং-২০২৪২২১১৬৫৫৬০০৪১৬। হাকিম উল্লাহর মৃত্যুর অনলাইন ২০২৪২২১১৬৫৫৬০০৪১৭। সনদ নং- গত ৩ডিসেম্বর’২০২৪ইং তারিখ ৩-৬নং বিবাদী সহ অন্যান্য ওয়ারিশ এবং আবেদনকারী গং এর মধ্যে সম্পত্তির বিষয়ে বিজ্ঞ এডভোকেট এর চেম্বারে বৈঠক হলে উক্ত বৈঠকে ৩-৬নং বিবাদীগণ উল্লেখিত মৃত তিন ব্যক্তির অনলাইন মৃত্যু সনদ সরবরাহ করতে পারে নাই। ৩-৬নং বিবাদীরা উচ্চ স্বরে হুমকি দেন যে, তাহারা ইচ্ছা করিলে যে কোন ডকুমেন্ট হাসিল ও সৃজন করতে পারেন। পরবর্তীতে ৩-৬নং বিবাদী কুচক্রী মহলের কুপ্ররোচনায় নিজেদের স্বীয় স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিবাদী চেয়ারম্যান ও সচিবকে অবৈধভাবে বশীভূত করে গত ৭অক্টোবর’২০২৪ইং তারিখে উল্লেখিত তিন ব্যক্তির নামীয় একই অনলাইনের সনদ ব্যবহার করে অন্যায় ও অবৈধভাবে ৩টি মৃত্যু সনদ পত্র প্রদান করে। বাদী পক্ষকে দেওয়া পুর্বের মৃত্যু সনদে তারিখ উল্লেখ করলেও বিবাদীগণের হাসিলকৃত সনদে সকল মৃত ব্যক্তিরা বহু বৎসর পুর্বে মারা গেছে মর্মে উ™ু¢ট বিতর্কিত তিনটি মৃত্যু সনদ প্রদান করে এবং বাদী পক্ষের সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত দেওয়া অনলাইন মৃত্যু সনদ ব্লক করে দিয়েছেন। উক্ত বিতর্কিত মৃত্যু সনদপত্র দ্বারা পক্ষে-বিপক্ষে মত বিরোধ ও দ্বন্ধসহ সংঘর্ষের আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। অথচ ২০১৬ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান মোঃ আলী মনছুর এর প্রদত্ত্ব মৃত সনদের আলোকে কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারার বাসিন্দা হামিদ আলী, আলীমুল্লাহ ও হাকিম উল্লাহ ব্যক্তিগণের মৃত্যুর তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধ করার পর বিবাদীগণ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে উক্ত মৃত্যু সনদকে অকার্যকর করার জন্য একই তারিখে ও একই সময়ে বহু বৎসর পুর্বে মারা গিয়াছে
মর্মে কথিত উল্লেখ দেখিয়ে প্যারালাল মৃত্যু সনদ দিয়ে জঘন্য অপরাধ করেছেন। উপরোক্ত ঘটনার বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ প্রকৃত মৃত্যু সনদের রহস্য উদ্ঘাটন করে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন ভুক্তভোগি পরিবার। ###
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc