আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় মালামাল সরিয়ে নিজ দোকানে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে কাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মল নিক্ষেপের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগিরা। উক্ত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজ দোকানের মালামাল সরিয়ে আগুন দিয়ে উল্টো সাঈদী সমর্থকদের ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছে। যা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের সামিল।

জানাগেছে, চলতি ২১মে রাত ৩টার দিকে চেয়ারম্যান সাঈদীর দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থক সাহারবিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোরালখালী দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মৃত আবুল খাইরের পুত্র আবদুল জলিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাদের বসতঘরে নির্বাচনী বিরোধে
হামলা, লুটপাট ও একাধিকবার মল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আবদুল জলিলের মা জন্নাত আরা বেগম (৭২) বাদী হয়ে ২২মে সন্ধ্যায় থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে এরশাদ আলম, মোর্শেদ আলম,জমির উদ্দিন বাবুল, মোঃ শাহিন, মোঃ রুবেল, মোঃ হাসান, আবু তাহের,খোর্শেদ, পারভীন আক্তারসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮ জনকে।

ভুক্তভোগি আবদুল জলিল বলেন, আমার পরিবার সাঈদীর দোয়াত কলমের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছি। তাই ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘোড়া সমর্থকরা আমার ও ভাইয়ের বাড়ি,অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপপরিদর্শক মোঃ ইব্রাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মামলা থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত পারভীন আক্তারের স্বামী আবদুল আজিজ তার দোকানের মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে ফেলে ২৩মে রাতে নিজ দোকানেই আগুন লাগানোর নাটক সাজায় জাফরের ঘোড়ার সমর্থকরা। ওই নাটকে উল্টো বিজয়ী চেয়ারম্যান সাঈদীর সমর্থক আবদুল জলিলসহ অপরাপর নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখিত ঘোড়া সমর্থক আজিজ চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ক্রসফায়ারের আসামী। পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে পঙ্গু হয়েছিলো। কিন্তু তাও আড়াল করে প্রশাসনের সহানুভূতি পেতে প্রতিবন্ধী সাজে। অগ্নিকান্ড চলাকালে নতুন জামায় দুলার বেশে হাজির হয় ঘোড়া প্রতিকের পক্ষে সন্ত্রাসের মদদদাতা বিভিন্ন মামলার আসামী চিহ্নিত অপরাধী সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোসেন। এসময়ও সাঈদী সমর্থক জলিল ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেন উল্লেখিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী।

চকরিয়া থানার অফিসার ইরচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অফিসে ও বাড়িতে মল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় অভিযোগটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।