আজ, শনিবার | ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার সোসাইটি জামে মসজিদ ও মজিদিয়া মাদরাসার জমি নিয়ে দ্বন্ধ, চাঁদা দাবীর মামলা হলেও অস্বীকার করলেন ব্যবসায়ীরা

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া পৌর সদরের চিরিংগা সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদ ও মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদরাসার ঔষধ মার্কেটের জমি নিয়ে চরম দ্বন্ধ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার পুত্র নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদরাসার সুপার মৌলভী নুরুল আবছার ছিদ্দিকী কর্তৃক গত ১৮মে’২৩ইং আদালতে চাঁদা দাবীর মামলা করায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি এর প্রতিবাদে ২০মে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মামলা ও চাঁদাদাবীর বিষয়ে ভিকটিম হিসেবে উল্লেখ করা হাসপাতাল রোড ঔষধ মার্কেটের সব দোকানে স্থানীয় প্রায় ২৫জন সাংবাদিক সরেজমিনে গিয়ে জিজ্ঞাসা ও যাছাই করলে তারা (দোকান মালিক- ব্যবসায়ীরা) তা অস্বীকার করেন এবং কোন ধরণের চাঁদা চাননি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দরা তাদের দোকানে গিয়ে মাদরাসা ও মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের মাসিক ভাড়া স্থগিত রাখার জন্য বলেন। অন্যথায় মার্কেটের জমি মসজিদের নামে হওয়ায় মাসিক ভাড়া মসজিদের একাউন্টে জমা দেয়ার জন্য তাদেরকে আহবান করেন। এবং বিষয়টি সেভাবে মাদরাসা কমিটি ও সুপারকে জানানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী আমরা (ব্যবসায়ীরা) মাদরাসা কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি।এখানে চাঁদাবাজীর কিছুই নেই বলে তারা (ব্যবসায়ীরা) জানান।
এদিকে, মজিদিয়া মাদরাসার তথাকথিত সভাপতি কাউন্সিলর মুজিবুল হককে ভূমিদস্যু লুটপাটকারী চাঁদাবাজ আখ্যা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, তার পিতা মরহুম মাওলানা বদরুদ্দোজা হেলালী (রহঃ) জীবদ্দশায় মাদরাসাটি ১৯৮২সালে প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদের জমির উপর। মাদরাসার কোন আয়ের উৎস না থাকায় ঔষধ মার্কেটের মাসিক ভাড়া ও সেলামীর টাকা মসজিদের পক্ষ থেকে তিনি প্রতিষ্টাতা হিসেবে মাদরাসায় ভোগ করার অস্থায়ীভাবে অনুমতি দেন। যেহেতু এখন মাদরাসা এমপিওভূক্তি হয়ে স্বয়ংসম্পন্ন। তাই দোকানের ভাড়া মসজিদ কমিটিকে দেওয়ার জন্য দোকানদারদের বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতে কথিত বানোয়াট মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলাটি করেন।

এসময় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী বলেন, কাউন্সিলর মুজিব একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। তাকে নিয়মবর্হিভূত ও অবৈধভাবে বিগত ১৩বছর ধরে সভাপতি পদে রেখেছে দূর্নীতিবাজ সুপার মৌলভী নুরুল আবছার ছিদ্দিকী। এই সুপার কথিত সভাপতি মুজিবকে নিয়ে নামে-বেনামে মাদরাসার কোটি টাকা আত্বসাত করে আসছে। যার হিসাবও কড়ায় গন্ডায় নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে দূর্নীতিবাজ সুপার নুরুল আবছার ও কথিত সভাপতি মুজিব কর্তৃক করা সংবাদ সম্মেলনের কথিত বক্তব্য ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানান। একই সাথে মসজিদ ও মাদরাসার বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স) এমএ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপসহ তাহাদের মাধ্যমে সমঝোতায় আসার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।
এসময় চকরিয়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা বশির আহমদসহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও মুসল্লীগন উপস্থিত ছিলেন।