আজ, শনিবার | ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়া পৌর এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট, আহত ৩

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

চকরিয়া পৌর এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ৩জন আহত হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়া খোদারকুম সড়কে গত ১৩জানুয়ারী’২৩ইং রাত সাড়ে ৮ঘটিকার দিকে ঘটেছে এঘটনায়। এনিয়ে দোকান মালিক আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সোহেল (২২) বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র খোর্শেদ আলম (২৪) ও রাসেল (২০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে।

অভিযোগে জানাগেছে, ঘটনার দিন ১৩জানুয়ারী’২৩ইং রাত সাড়ে ৮ঘটিকার সময় অভিযুক্ত খোর্শেদ আলম ও রাসেল
শত্রুতা মূলকভাবে ধারালো অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় দোকান ঘরে অবৈধভাবে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে ধাক্কা দিয়ে ব্যবসায়ী সোহেলকে মাটিতে ফেলিয দেয় এবং ধারালো ছোরার আঘাতে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী কেটে যায়। এমনকি মাটিতে ফেলে পায়ে পৃষ্ট করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে তার মা হালিমা খাতুন এগিয়ে গেলে মাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে বারি মারলে তার মায়ের বাম হাত গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ওই সময় তার মায়ের গলায় থাকা১লাখ ২০ হাজার মূল্যের ১টি বিদেশী ১ ভরি ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবক্সে থাকা ব্যবসার ও বিভিন্ন লোকের আমানত রাখা মোট ৮০ হাজার টাকা করে নিয়ে নিয়ে ফেলে। ঘটনার সময় তাদের উদ্ধারে সোহেলের বড় ভাই মোঃ শোয়াইব এগিয়ে আসলে, অভিযুক্তরা তাহাকেও সর্বশরীরে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি লাথি মেরে জখম করে। ওই সময় তার বড় ভাই মোঃ শোয়াইব এর প্যান্টে থাকা নগদ ১০হাজার টাকা নিয়ে ফেলে। ঘটনার সময় দোকানের সো-কেইচ, ক্যাশ টেবিল,আয়না ভাংচুর করে ও বিভিন্ন মালামাল এলোপাতাড়ীভাবে ছিটিয়ে ও লুটে আরো দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে স্থানীয় লোকজন চারিদিক হতে এগিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করেন এবং পুলিশের জাতিয় সেবা সেন্টারের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে চকরিয়া থানার এসআই সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।ঘটনার বিষয়ে দেয়া অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে থানার একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।