চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ার কৈয়ারবিলে সংখ্যালগু পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। টিনের ঘেরা দিয়ে জবর দখলে নিয়েছে তাদের বসতভীটার সীমানা অংশের জমি। বাধা দেয়ায় এক বছর বয়সী শিশুসহ ৩জন আহত হয়েছে। উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইসলাম নগর হিন্দু পাড়া গ্রামে ১জুলাই’২২ইং সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
এনিয়ে ওই গ্রামের সমীর কান্তি দে’র স্ত্রী টুম্পা দে (২২) বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; নজির হোসেনের ছেলে মোঃ মাসুম (৩৫), নুরুল আবছারের পুত্র মোঃ ফারুক (৩০),নজির হোসেনের পুত্র মোঃবাবু (১৯), তার পিতা-নজির হোসেন (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, আবদুল মন্নান ফকিরের পুত্র মোঃ একরাম সহ অজ্ঞাত আরো নামা ৩/৪ জনকে।
বাদী টুম্পা দে অভিযোগে জানান, তার শ্বাশুরি ভানু প্রভা দে’র অনুপস্থিতির সুযোগে অভিযুক্তরা হাতে বন্দুক, ধারালো দা, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী ও দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমি জবর দখলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এসময় অভিযুক্তরা বসত ভিটার পূর্ব পার্শ্বের খালি জায়গা জোর পূর্বক টিনের ঘেরা-বেড়া দিতে থাকলে তাতে বাধা দেন। এসময় হামলা চালালে বাড়িতে ঢুকে বাঁচার চেষ্টা করেন। ওই সময় বাড়িতে ঢুকে বন্দুকের বাট ও লোহার রড দিয়ে টুম্পা দে’কে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতে জখম করে। এক পর্যায়ে চুলে ধরে টানা-হেচড়া করে বিবস্ত্রসহ শ্লীলতাহানী করে। ছিনিয়ে নেয় ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন। এসময় তার কোলে থাকা শিশু মেয়ে নৈত্রী দে (১)কেও মুখে ঘুষি মেরে জখম করে। তাকে উদ্ধারে স্বামী সমীর কান্তি দে (৩৭) এগিয়ে গেলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক অন্ডকোষ চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে ও মাটিতে পড়ে গেলে তার মাথা, কপাল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে স্বজোরে বারি মেরে গুরুতর জখম করে। তার কাছ থেকে লুট করে নিয়ে যায় ব্যবসায়িক নগদ ৫৫,৩০০ টাকা। তাদের শৌর চিৎকারে পাড়ার লোকজন চারিদিক হতে এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান।
এদিকে, ঘটনার বিষয়ে থানায় এজাহার দায়েরের পর থানার উপপরিদর্শক কামরুল ৩জুলাই সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
সাবেক মেম্বার ও জমি মালিক ভানু প্রভা দে অভিযোগ করেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তারা চশমা প্রতীকে আফজলের পক্ষে নির্বাচন করায় এবং স্থানীয় প্রতিবেশী প্রার্থী মামুনের পক্ষে কাজ না করায় সেই থেকে প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সংখ্যালগু পরিবারের উপর নির্যাতন ও জমি দখলে মেতেছে। মামুন গংয়ের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc