আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করায় মসজিদে ঢুকে কুপালেন চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল!

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করায় মোঃ ছাদেকুজ্জামান (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে মসজিদের ভেতর ঢুকে কুপিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন ও তার পিতা নুরুল হোসেন। ১৭জুন শুক্রবার, পবিত্র আছরের নামাজের সময় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খোজাখালী ভোলপুকুর জামে মসজিদে ঘটেছে এঘটনা। হামলার শিকার ছাদেকুজ্জামান ওই এলাকার মৃত আব্বাস আহমদের পুত্র। আহতের হাতে ১৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

হামলার শিকার মুসল্লী ছাদেকুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, তিনি গত ইউপি নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শহীদ হোসাইন চৌধুরীর পুত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজল উর রহমান চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনের সময় বিজয়ী চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেনের প্রতিবেশী ও আত্বীয় হওয়া সত্ত্বেও তার পক্ষে কাজ না করায় নির্বাচনের পর থেকে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালানোর জন্য হুমকি ধমকি প্রদানসহ ইস্যু খুজতে থাকেন। তিনি জানান, কৈয়ারবিল খোজাখালী এলাকায় নির্মিত ব্রীজ ও সংস্কারকৃত সড়ক সম্প্রসারণের জন্য চকরিয়া-পেকুয়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ ইউপি চেয়ারম্যানকে জনসম্মূখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান মক্কী ইকবালের মার্কেটের নীচের সিড়ি ভেঙ্গে ফেলার জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তা না করে আমার (ছাদেকুজ্জামান) বাড়ির পুকুরের পাড় অন্যায়ভাবে ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণের চেষ্টা চালায়। এমনকি বাড়ির রোপিত কয়েকটি কলাগাছ ও আমগাছও কর্তন করেন ক্ষুদ্ধ চেয়ারম্যান ও তার পিতা। বিষয়টি জানতে চাইলে চেয়ারম্যানের পিতার সাথে সামান্য তর্ক হয়। ওই তর্কের তুচ্ছ সূত্র ধরে পূর্বে থেকে ক্ষেপে থাকা ইউপি নির্বাচনী ইস্যুতে হামলার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭জুন শুক্রবার, পবিত্র আছরের নামাজ পড়ার জন্য ছাদেকুজ্জামান বাড়ির পাশ্ববর্তী ভোলপুকুর জামে মসজিদে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন ও তার পিতা নুরুল হোসেন হাতে ধারালো কিরিছ ও লোহার রড নিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে অতর্কিত ও পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে তা ডান হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে হাতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার শরীরের আরো বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে মুসল্লী ও স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত ছাদেকুজ্জামানকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার হাতে ১৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঢুকে চেয়ারম্যান কর্তৃক হামলার ঘটনায় মুসল্লী ও এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে, চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন।উল্লেখিত হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবার।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছেন। তবে, কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যেই হোকনা কেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##