আজ, রবিবার | ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



ফাঁসিয়াখালী হারগাজা রাবার প্লট দখলে নিতে বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ড, গুলি বর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লামায় রাবার প্লট দখলে নিতে বসতগৃহে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে, প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুরুপপাতা ঝিরি নামক এলাকায় গত ১জানুয়ারী’২৩ইং রাত ৯টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা।
ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার ও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে ২নং ওয়ার্ডের পাগলির আগা এলাকার চুক্তিনামা গ্রহীতা পক্ষের মোক্তার আহমদের পুত্র নুরুল আলম বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বিবাদী করা হয়েছে; অভিযুক্ত ০২নং ওয়ার্ডের হারগাজা এলাকার আব্দুল লতিফের পুত্র মোঃ শহীদুল্লাহ (২৯) ও তার পিতা আবদুল লতিফ(৫৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ০৬/০৭ জনকে। এর পূর্বেও বিবাদীগণের বিরুদ্ধে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি.আর- ৯৫/২০২১ মামলা দায়ের করেন, তা বূতমানেও চলমান রয়েছে। বসবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং উক্ত বিষয়ে বান্দরবান আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

অভিযোগে জানাগেছে, বাদী নুরুল আলম গং বিগত ১৮নভেম্বর’২২ ইং তারিখ কুরুপপাতা ঝিরি নামক এলাকায় দুই প্লটে ৫০একরের রাবার বাগান যৌথ ভাবে সংযুক্ত এগ্রিমেন্ট মূলে কর্মসংস্থান ও আয় উপার্জনের লক্ষে বাগানের মালিক ও ভোগ দখলকার বুলবুল আকতার এর নিকট থেকে লাগিয়ত গ্রহণ করেন। উক্ত রাবার বাগানে রাবার উৎপাদন কার্যক্রম আরম্ভ করতে গেলে উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে ইতিপূর্বে রাবার বাগানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ধারালো দা সহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লাগিয়ত গ্রহণকৃত শেয়ারদেরকে সহ টেপারগণকে বাগানে না আসার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করার জন্য চেষ্টা করে। এতে প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করে। এমনকি রাবার বাগানে কাজ করতে প্রাণে হত্যা করে লাশগুম, বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিবে, বাড়িতে হামলা ও মারাত্মক প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। ইতিপূর্বে থানাতেও কয়েকদফা বৈঠক হয়।সেখানে বিবাদী পক্ষ বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এরপরও বিবাদী পক্ষ সন্ত্রাসী কায়দায় রাবার বাগান জবর দখলে নিতে বাদী পক্ষগনের বাড়িতে গিয়ে পর পর কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা বাড়ির জানালার ফাঁক দিয়ে উল্লেখিত বিবাদীগণকে লাইটের আলোতে দেখিতে পান। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার ও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ১জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে বাদী পক্ষের বসতবাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছেন।