চকরিয়া অফিস:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মক্কি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশদল ২ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে কৈয়ারবিল খোজাখালী এলাকায় গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ধৃত মিজান কৈয়ারবিল ৬নং ওয়ার্ডের কবির আহমদের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, ঘোড়া মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মক্কি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী ২৮নভেম্বর ইউপি নির্বাচন চলাকালে ১,২,৫,৪,৬নং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ব্যালটে সীল মেরে বাক্সে ভর্তি করে। পরে ১ ও ৬নং ওয়ার্ডের ভোট শেষ করে উপজেলা সদরে ফেরার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, সোমবার রাতে খিলছাদক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার একেএম শাহাবউদ্দিন বাদী হয়ে ১৮জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫-৩০জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে থানায় মামলাটি (নং ৩৪) করেন।
এদিকে, চশমা প্রতিকের প্রার্থী আফজালুর রহমান বলেন, ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মক্কী ইকবাল হোসেন ও টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ ভোটেরদিন তাদের বাহিনী দিয়ে ৪, ৬ ও ৭ নং কেন্দ্রে আমার ভোটারদের বাধা প্রদান করেন। বিশেষ করে ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ চলাকালে ৫/৬বার সংঘর্ষ হয় এবং জোরপূর্বক ব্যালেটে সীল মারে এবং ভোট গননা শেষে এজেন্টদের রেজাল্টশীটও প্রদান করেননি। এবিষয়ে আমি উক্ত ২টি কেন্দ্রের পুনঃ নির্বাচন দেয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন দিয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট কেন্দ্র থেকে আসার পথে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার মিজানুর রহমান নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc