চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও খামখেয়ালীপনায় পশ্চিম কোনাখালী এবতেদায়ী মাদ্রাসা ধ্বংসের দারপ্রান্তে। মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের টাকা,পুকুর লাগিয়তের টাকা আত্মসাৎ ও মাদ্রাসার ঘর ভেঙে দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের
পড়াশোনা ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান দিদারুল হকের বিরুদ্ধে।
তিনি পরিকল্পিত ভাবে এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
পশ্চিম কোনাখালী এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়ে দীর্ঘদিন সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসলেও বিগত ২০১৩ সালে স্থানীয় চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার নিজের ক্ষমতা বলে, ইচ্ছে মতো পরিচালনা কমিটি গঠন করে নিজেকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে উক্ত মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব নেন। এর পর থেকে মাদ্রাসার নামে জমি ও পুকুরের খাজনার টাকা মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যবহার না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ তুলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক মৌলভী আক্তার উদ্দিন আজাদ। তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে তৎকালীন এমপি মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে পুনরায় মাদ্রাসা মেরামত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে দুই লক্ষ টাকা অনুদান আসে ভবন নির্মাণের জন্য। উক্ত ভবন নির্মাণের টিকাদার আমির হোসেনের কাছ থেকে চেয়ারম্যান দিদারুল হক কাজটি নিজে করবেন বলে বুঝে নেন। পরবর্তীতে মাদ্রাসার পুরাতন ঘরটি ভেঙে পেলে নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে ৪/৫টি পিলারের অবকাঠামো তৈরি করে কাজটি ফেলে রাখে। এর পরে মাদ্রাসাটি নির্মাণ না করে সম্পুর্ন টাকা আত্মসাৎ করে। মাদ্রাসার কোন ঘর/শ্রেণি কক্ষ না থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী আজিজ নুর জানান, কোনাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পশ্চিম কোনাখালী এবতেদায়ী মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাটি আমাদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার অনেক দিন আগে পুনঃ নির্মাণ করবেন বলে ভেঙে ফেললেও আর নির্মাণ করেননি। দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় কোন শ্রেণিকক্ষ না থাকায় এই এলাকার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত। এই ওয়ার্ডের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এটি স্থানীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। চেয়ারম্যানের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ১নং ওয়ার্ডে। নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য ২নং ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রটি কেটে ১নং ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে কূটকৌশল হিসেবে উক্ত মাদ্রাসাটি ধ্বংস করছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও ওনি ফোন রিসিভ করেন নি। তাই ওনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।##