মোহাম্মদ হাসান, স্টাফ রিপোর্টর কক্সবাজার
কক্সবাজারে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।শুক্রবার ও শনিবার বৃষ্টি না হওয়ায় বাকখাঁলী, মাতামুহুরী নদী ও রেজুখালের পানি হ্রাস পেয়েছে।
উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে দুর্গত মানুষের মাঝে।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে জেলার ৭টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের উপকূল ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে উখিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর ও রামু এলাকার অন্তত ২৫০ গ্রাম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার অন্তত ৩ লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷
এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চকরিয়া মানিকপুর সড়ক, রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কসহ জেলার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ পুণঃস্থাপিত হয়েছে। তবে এখনও কিছু উপকূলীয় এলাকায় বন্যার পানি থেকে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে আছেন বলে জানা যায়। সেই সাথে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান- দুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নে ফসল ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষত চিহ্ন ভেসে উঠছে। বন্যা কবলিত এলাকা গুলোয় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী বলেন- শুক্র ও শনিবার বৃষ্টি না থাকায় রেজুখালের পানি নেমে যাচ্ছে। সেই সাথে বন্যাকবলিত এলাকা গুলোও শুকিয়ে আসছে। এখন ক্ষত চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এবারের বন্যায় জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় উখিয়া উপজেলা৷ এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে ফসল, মাছের ঘের ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছেন। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন৷
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সজারের ৭ উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪৭ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও অর্থ সাহায্য ও ত্রাণ দেয়া হবে। তিনি জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো নিরূপণ করা হয়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ডিসি।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc