আজ, রবিবার | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় সোনালী লাইফের ম্যানেজার্স কনফারেন্স-

ব্যবসা নয়, গ্রাহক সেবা, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে সোনালী লাইফ

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কক্সবাজার জোনের আয়োজনে চকরিয়ায় ম্যানেজার্স কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়ার এরিস্টোডাইন রেস্টুরেন্টে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনালী লাইফের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সোনালী লাইফের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সেলস ম্যানেজার মো. তামজিদুল আলম।
সোনালী লাইফের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল বলেন, সোনালী লাইফ ‘সোনালী ফার্স্ট’ এজেন্ডা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে অপারেশনাল এক্সিলেন্স, ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড একাউন্টিবিলিটি এবং লিডারশিপ ইন ইনোভেশন। আগামী ১০ বছরে যদি আমরা ভালো করতে চাই, সেরা হতে চাই ও সেরা মানের গ্রাহক সেবা দিতে চাই তাহলে এই বিষয়গুলো ধারন করতে হবে।
সোনালী ফার্স্ট এজেন্ডার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম হলো-অপারেশনাল এক্সিলেন্স। আমাদের অল অপারেশন্সের এসওপি ক্লিয়ারলি মেনশন করা থাকতে হবে। ফলে আমরা যতো কাজ করবো সব স্বচ্ছ থাকবে ও দ্রুত হবে। এর সুবিধা হলো- যেকোনো ডিপার্টমেন্ট বা পজিশনে লোক পরিবর্তন হলেও কোনো কাজ থেমে থাকবে না। কোনো ব্যক্তির জন্য অপারেশন থেমে থাকবে না। এটাই সোনালী ফার্স্টের প্রথম কাজ। দ্বিতীয় হলো- ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড একাউন্টিবিলিটি। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকলে কোম্পানির সব সার্ভিস সব সময় সুরক্ষিত থাকবে। তৃতীয় হলো ইনোভেটিভ। গ্রাহক সেবা ও ঠিক সময়ে ক্লেইম সেটেলমেন্ট করার জন্য নতুন কিছু বের করা। অর্থাৎ আমরা যে ৭ দিনে ক্লেইম সেটেলমেন্ট করছি, এটা চাইলে আরও দ্রুত কীভাবে করা যায় তা বের করা। টাকাতো আগে থেকেই রেডি থাকছে; কিন্তু প্রসেস করতে ৭ দিন সময় লাগছে এটাকে কীভাবে আরও দ্রুত করা যায় তা বের করা। এই সবকিছুই হচ্ছে সোনালী ফার্স্টের এজেন্ডা।
সোনালী লাইফের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সোনালী লাইফ তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বীমা দাবি পরিশোধ সোনালী লাইফ বরাবরই এগিয়ে।
তিনি বলেন, সোনালী লাইফ একটি গ্রাহক ও কর্মীবান্ধব প্রতিষ্ঠান। শুধু ব্যবসা নয়, গ্রাহক সেবাই সোনালী লাইফের মূলব্রত। আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সোনালী লাইফের উন্নয়ন কর্মকর্তারা সবসময় মেধা-মনন ও শ্রম দিয়ে কোম্পানির ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলার উন্নয়ন কর্মকর্তাদের একাগ্রতার কথা বলাই বাহুল্য। তাদের জন্যই সোনালী লাইফ আজ এই অবস্থানে এসেছে। তাদের এই ডেডিকেশন অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করেন তারা।
এছাড়াও কক্সবাজার অঞ্চলে সোনালী লাইফের গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দিতে কীভাবে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো যায়, কক্সবাজার অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে কীভাবে সোনালী লাইফের বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং কক্সবাজার অঞ্চলের শীর্ষস্থান অর্জনের লক্ষ্য নিয়েও কনফারেন্সে আলোচনা হয়।
ম্যানেজার্স কনফারেন্সে জানানো হয়, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় সোনালী লাইফের ব্রাঞ্চ রয়েছে ১২টি। এই দুই জেলায় সোনালীর লাইফের হয়ে কাজ করছেন ৩ হাজারের অধিক এজেন্ট। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩ সালে কক্সবাজার ও বাব্দরবানে মোট বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যেখানে সোনালী লাইফ সাড়া দেশে মোট বীমাদাবী পরিশোধ করেছে ৯২ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
২০২৩ সালে কক্সবাজার ও বাব্দরবান থেকে সোনালী লাইফের গ্রস প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ টাকা।