চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর দখল করে পাকা বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে দখলবাজদের হুমকিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় জমি মালিক পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। ওই এলাকান মৃত রফিক আহমেদ চৌধুরী ছেলে আনিসুর রহমান চৌধুরী গং এর বিরুদ্ধে উঠেছে প্রকাশ্যে ও রাতারাতি জমি জবরদখল করে পাকা দালান বাড়ী নির্মাণের এ অভিযোগ। সর্বশেষ ১৮ই সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ঘটিকায় অভিযোগকারী অসহায় দিনমজুর সরওয়ার আলমের মায়ের ওয়ারিশি সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নানার বাড়ির বসত গৃহে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগকারী সরওয়ার আলম জানান, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দরগহ পাড়া এলাকার ফরিদুল আলমমের ছেলে।
তিনি অভিযোগে ও সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যে বলেন, আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা (২য়) জজ আদালত, কক্সবাজারে অপর মামলা নং১৭২/২২ইং দায়ের করেছি। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত ৭জুলাই’২৩ইং জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত ২২ আগষ্ট’২৩ইং নিষেধাজ্ঞার নোটিশের কপি আনিছুর রহমান গং হাতে পেয়ে সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে তড়িঘড়ি করে বিরোধীয় জমিতে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমার নানা মোঃ শফি মরণে ৩কন্যা ১ পুত্র রেখে যান। তৎমতে রেখে যাওয়া ওয়ারিশগণ আমার মরহুম নানা খরিদকৃত ও রেকর্ডীয় জমি প্রাপ্ত হয়। লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস ১০৮ খতিয়ানের বিএস ২১১২/২১১৩ দাগের ১০কড়া জমি প্রাপ্ত হয়।
মৃত শফি আলমের মেয়ে ছেনু আরা জানান,আমার পিতা শফি মরণে আমরা তিন বোন ও এক ভাই সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করি। কিন্তু স্হানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র বেআইনি ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় রাতের আঁধারে ও প্রকাশ্যে জমি জবরদখল করে পাকা বাড়ী নির্মাণ করেন ।আমারা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার পিতার নামে বিএস রেকর্ড চুড়ান্ত প্রচার আছে।আমরা অসহায় দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবেন তা মাথা পেতে নিব। আনিসুর রহমান চৌধুরী গং আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে।আমার ছেলেকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় অভিযুক্ত করে দেশ ছাড়া ও ঘুম করবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ন্যায় বিচার পূর্বক জমি উদ্ধার করতে বিজ্ঞ আদালতসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান চৌধুরী গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় দুইবার লিখিত অভিযোগ করেন। প্রথমে থানার এএসআই মামুনুর রশিদ ও পরে থানার এসআই সেলিম মিয়া বিষয়টি দেখেন এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধ হওয়ায় আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ আনার পরও নির্মাণকাজ বন্ধ করছেনা ভূমিদস্যুরা।##
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc