আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



হারবাং বনবিটে দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ না পেয়ে য়ুবককে ধরে এনে বন মামলা দেয়ায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

চকরিয়া অফিসঃ
চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে মিনার হোসেন (২০) নামে এক নিরপরাধ যুবককে স্থানীয় গ্রাম্য ষ্টেশন থেকে বনবিটে ধরে এনে দাবীকৃত ৩০ হাজার টাকা না পেয়ে কোন ঘটনা বিহীন মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে ইউনিয়নের হারবাং গয়ালমারা কাট্টলী ভেটকার ঝিরি এলাকায় উক্ত মানববন্ধন করা হয়।
মিনার হোসেন ওই এলাকার কামাল হোসেনের পুত্র।

বিক্ষোভকালে স্থানীয়রা জানান, মিনার হোসেন একজন সাধারণ শ্রমিক। বালুর লেবার ও রাজমেস্ত্রী সহকারি হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার দিন গত ২৬মে’২৩ ইং সকাল ৮ ঘটিকার দিকে
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জাধীন হারবাং বিটের ১৮ নং হারবাং মৌজার সরকারী রক্ষিত বনভূমির কাট্টলী ভেটকার ঝিরি এলাকায় কথিত চারাগাছ কাটার তুচ্ছ অভিযোগে জনৈক বালু ব্যবসায়ী মোজাম্মেলের মাধ্যমে গ্রাম্য ষ্টেশন থেকে ডেকে এনে অন্যায়ভাবে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় অসহায় দিনমজুর যুবক মিনার হোসেনকে মাটির গর্ত খোড়া ও চারাগাছ কাটার তুচ্ছ ঘটনা দেখিয়ে হাতে নাতে আটক মর্মে হারবাং বনবিটে পি ও আর বন মামলা নং-০৮/হারবাং অব ২০২২-২০২৩ ইং দায়ের করে চকরিয়া আদালতে প্রেরণ করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হারবাং বনবিটের আওতাধীন এলাকায় গাছ কেটে চুরি, জবর দখল করে অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ, দখল-বেদখল বেচা বিক্রিসহ হরধম ঘটনা করে যাচ্ছে প্রভাবশালী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের লোকজন। বনবিভাগ অথচ এসবের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। কিন্তু একজন অসহায় দিনমজুরকে আটক করে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হচ্ছে। এসব অভিযোগ তুলেন চুনতি রেঞ্জের হারবাং বনবিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ফরেস্ট গার্ড হাবিবুর রহমান ও মহাসিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা অভিলম্বে নিরপরাধ মিনার হোসেনের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবী করেন।
৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবীর কথা অস্বীকার করেন হারবাং বনবিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ফরেষ্টগার্ডদের নিয়মিত টহলকালে এ অভিযান চালানো হয়।
এদিকে, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক বলে মনে করেন স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ।