আজ, শনিবার | ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করে আপন খালা!

মাতামুহুরী নদী থেকে ৭ মাস বয়সী মো. আনাছ নামের শিশুর লাশ উদ্ধারের রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। আপন খালা মুখে কাপড় দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় ওই শিশুকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খালা আঁখি রহমানকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি স্টেশনের মাতামুহুরী নদীর পয়েন্ট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হলো তা নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়।

 

গ্রেপ্তার আঁখি রহমান বিএমচর ইউনিয়নের ছৈনারমার ঘোনার ছৈয়দ আকবরের মেয়ে এবং সাকিলার আপন ছোট বোন।

 

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন আঁখি রহমান। আসার পর বোনের শ্বশুরবাড়ির একটি রুমে জিন থাকার অজুহাতে ঝাড়ফুঁক শুরু করেন। তবে অল্প বয়সে এসব কাজ করতে বারণ করেন বড় বোন সাকিলা ও দুলাভাই হোসাইন আলী। এতে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন আঁখি। সেই ক্ষোভ থেকে বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে ভাগিনা শিশু আনাছকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দেয় আঁখি।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কান্নার পর শিশু আনাছকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন মা সাকিলা। এরপর এক রুমে হোসাইন আলী এবং অন্য রুমে শিশু আনাছ, মেয়ে মরিয়ম জন্নাত (৪), বোন আঁখি ও ননদ খতিজা বেগমসহ ঘুমিয়ে পড়েন সাকিলা।

বুধবার ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আনাছকে না দেখে সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন সাকিলা। এরপর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এসময় আঁখির জামায় কাঁদা দেখে সন্দেহ হলে তাকে সবাই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আনাছকে মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নিহত শিশুর খালা আঁখি রহমান। এছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতেও শিশু আনাছকে নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।

ওসি আরও বলেন, নিহত শিশু আনাছের বাবা হোসাইন আলী বাদী হয়ে থানায় দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে। আজ দুপুরে গ্রেপ্তার আঁখি রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।