আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় বসতভীটার জমি জবর দখলে নিতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় বসতভীটার বৈধ খতিয়ান, নিজস্ব বিদ্যুৎ মিটার ও পরিষদের হোল্ডিংও থাকা সত্ত্বেও বসতভীটার জমি জবর দখলে নিতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৯মে’২২ইং ভোর সকাল ৫ ঘটিকায় কাকারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এসএমচর গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
এনিয়ে ভুক্তভোগি পরিবারের মিনহাজ উদ্দিন সোহেলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয়েছে;একই এলাকার মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র বেলাল হোসেন, মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র রফিক আহমদ, বেলাল হোসেনের পুত্র মোঃ লোকমান, মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইউনুছ, ছৈয়দ নুরের কামাল উদ্দিন, মৃত বাবু মিয়ার ওসমানকে।
অভিযোগে জানাগেছে, স্বামীর নির্মিত বসতভীটায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। বসতভীটায় নিজস্ব বিদ্যুৎ মিটার ও পরিষদের হোল্ডিংও রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত বেশকিছুদিন ধরে জবর দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯মে’২২ইং ভোর সকাল ৫ ঘটিকায় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। বসতভীটার সীমানা পিলার, ঘেরা-বেঁড়া ভাংচুর করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং বসতগৃহে দরজা-জানালা কাটিয়া গৃহে অনাধিকার প্রবেশ করে এবং টিনের বেঁড়া, বিভিন্ন ফার্নিচার, আসবাবপত্র ও ক্রোকারিজ সামগ্রী ভাংচুরে আরো ৬৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীদের বাধা দিতে গিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা বাদী মিনহাজ উদ্দিন সোহেলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৩৪)কে তলপেটে লাথি ও আঘাত করলে জরায়ু হতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে জখম হয়। তাকে বাঁচাতে মৃত মোস্তাক আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম(৬০) এগিয়ে গেলে তাকেও পিঠিয়ে আহত করে। এসময় ছিনিয়ে নেয় ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ও ঘরের আলমারীতে রক্ষিত ৫০ হাজার টাকা এবং বাদীর ব্যবহৃত ১টি নকিয়া মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। পরে শিশু সন্তানদের ঘর হতে টানা হেচড়া করে উঠানে বাহির করে বসত ঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা সেবা ৯৯৯-এ কল করলে চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মোঃ জুয়েল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।