আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার বিএমচরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, আহত ২, ব্যবসায়ীর ২০ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই

চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ার বিএমচরে দিনদুপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ব্যবসায়ীর ২০ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই। হামলায় আহত হয়েছেন ২জন। ১২জানুয়ারী’২২ইং দুপুর ১.৪০ ঘটিকায় বি,এম,চর ইউনিয়নের স্টোর স্টেশনের মসজিদের গেইটস্থ ব্যাংক এশিয়ার
সামনে চলাচল রাস্তায় ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে চকরিয়া উপজেলার বি,এম,চর ইউনিয়নের পাহাড়িয়া পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র গিয়াস উদ্দিন আহমদ (৫০) বাদী হয়ে একইদিন সন্ধ্যায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; মোস্তাক আহমদের পুত্র মিজান উদ্দিন মিজান (২৮), মৃত জাফর আলমের পুত্র মোঃ রিদুওয়ান (৩০), মোঃ কালুর পুত্র কফিল উদ্দিন (৩২), মোঃ পেঠানের পুত্র মোঃ বাবুল (৪০) ও মনছুর আলম (৩২), ইলু মিয়ার পুত্র মকছুদ আহমদ (৪৭), আমির হোসেনের পুত্র নুরুচ্ছমদ (৩০), ইলু মিয়ার পুত্র নেজাম উদ্দিনকে।
বাদী গিয়াস উদ্দিন আহমদ বি,এম,চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বেতুয়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে স্টোর স্টেশন এলাকায় শহিদুল ইসলাম জিহাদ নামে রড-সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। অভিযুক্তরা পূর্বশত্রুতার আক্রোশে পরিকল্পিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকালে ব্যবসার জমানো ২০ টন রডের নগদ ১৫,৮০,০০০ টাকা,  ৪০০ শত ব্যাগ রুবি সিমেন্টে নগদ ১,৬৬,০০০টাকা, ২৫০ শত ব্যাগ ডাইমন্ড সিমেন্টের নগদ ১,০৪ ৫০০ টাকা, শাহ সিমেন্টের নগদ ১,৫৮,০০০ টাকা, সর্বমোট ২০,০৮,৫০০ টাকা একটি বড় শপিং ব্যাগে ভর্তি করে ঘটনাস্থল ব্যাংক এশিয়ায় ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে রাখার জন্য বাদীর ছেলে পায়ে হেঁটে যাওয়ার পথে স্টোর স্টেশনের মসজিদের গেইটস্থ ব্যাংক এশিয়ার সামনে চলাচল রাস্তার উপর পৌছলে ধারালো ছোরা,লোহার রড, হাতুড়ী, লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় বাদীর ছেলে শহিদুল ইসলাম জিহাদ ও তার বন্ধু মোঃ রাসেলকে সর্বশরীরে কিল, ঘুষি,লাথি মেরে জখম করে। এসময় শপিং ব্যাগে রক্ষিত নগদ ২০,০৮,৫০০ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওসমান গনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তা তদন্ত করে দেখতে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্তের কেন্দ্রের আইসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে