চকরিয়া অফিস:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রংমহল হাতিপাড়া গ্রামে একই পরিবারে চলতি সনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ৪রোহিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থের বিনিময়ে জন্মনিবন্ধন ও ভোটার হওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা অর্থের বিনিময়ে স্থানীয়দের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বনবিভাগের রিজার্ভ জমিও দখলে নিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রংমহল হাতিপাড়া গ্রামে গেল বছরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে মায়ানমারের নাগরিক ছরওয়ার আলম, তার স্ত্রী হাছিনা বেগম (৩৫), তার কন্যা জেসমিন আক্তার (১৩), শারমিন আক্তার (৯)ও ছেলে বাপ্পী (৭)। তাদের পূর্বের বাড়ি মায়ানমারের মংডু বাজারের উত্তরপূর্ব পার্শ্বে। তারা চকরিয়ায় পালিয়ে আসার সময় সাগরপথে গৃহকর্তা ছরওয়ার আলম মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। তার স্ত্রী-সন্তানরা চকরিয়ার রিজার্ভ বনভূমিতে আশ্রয় নেয়া অবস্থায় তথ্য গোপন করে ৩ছেলে মেয়ের জন্য জন্মনিবন্ধনের আবেদন করেছে। অন্যদিকে একইভাবে তথ্যগোপনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সৃজনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদকে অবগত করে। এভাবে নাম জানা-অজানা অনেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি করার পায়তারা চালাচ্ছে।
স্থানীয় ডুলাহাজারা ৯নং ওয়ার্ড এমইউপি জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয়রা বিষয়টি তাকে জানানোর পর সরেজমিনে গিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যাতে তথ্যগোপন করে কেউ এধরণের কাজ করতে না পারে।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নুরুল আমিন বলেন, তথ্য গোপন করে কেউ জন্মনিবন্ধন করে থাকলে কিংবা আবেদন করলে তা তথ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যাপার। এরপরও তার অগোচরে এধরণের কেউ জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করে থাকলে তা খতিয়ে দেখে বাতিল করা হবে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc