আজ, শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার কৈয়ারবিলে বহিরাগত সুবিধাভোগী মামুনের বিএনপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি।।

চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮নভেম্বর। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সমর্থন পেতে আকষ্মিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে বহিরাগত মামুনুর রশিদ মামুন। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানাগেছে, সারাদেশে স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচন চলছে। নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন না করলেও বেশ কিছু স্থানে তাদের প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু আসন্ন ২৮নভেম্বর’২১ইং চকরিয়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং ২৩ ডিসেম্বর অবশিষ্ট ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।

পরবর্তীতে প্রবাসী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জকরিয়াকে বিএনপির পক্ষ থেকে সমর্থন দিয়ে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়। প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপি নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও সেলিম নেওয়াজসহ বেশকিছু বিএনপি নেতাকর্মী। পরবর্তীতে গত ১৩ নভেম্বর স্থানীয়ভাবে আয়োজিত বিএনপির এক সভায় প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে বিএনপিতে যোগদান করেন ইসলামনগরে বসবাস করা সাতকানীয়া থেকে আগত মামুনুর রশিদ মামুন। মামুন চকরিয়ার ইসলামনগরে ও দুবাইতে অবস্থানকালীন নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ও বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনে কাজে লাগাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিতর্কিত মামুনের আকষ্মিক যোগদান নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তৃণমূল বিএনপি নেতৃবৃন্দের দাবী, তাদের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের পরামর্শ অনুযায়ী অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: জকরিয়ার পক্ষে কাজ করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে মামুন বিএনপিতে যোগ দিয়ে বিএনপির সমর্থন আদায়ের চেষ্টা তাদেরকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এধরণের কর্মকান্ডে সাধারণ ভোটাররা বিএনপি সর্ম্পকে বিরূপ মন্তব্য করছে।

অভিযুক্ত মামুনের ইতিপূর্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন ধরণের কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ কিংবা সহযোগিতা ছিলনা। নির্বাচনী ফায়দা হাছিল ও সমর্থন আদায়ে বিএনপিতে যোগদান সর্বত্রে প্রশ্নের সম্মূখিন হয়েছে।
বিএনপি নেতা সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, বিএনপির মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করার জন্য এধরণের একেকজন মামুনই যথেষ্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যত্র-তত্র যোগদান প্রথা বন্ধ হওয়া দরকার। তা অব্যাহত থাকলে রাজনৈতিক কর্মকান্ড কলোসিত হয়ে পড়বে।