আজ, শুক্রবার | ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় চিংড়ি জোনে দেড় শত একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে লবণ লুট, ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়ি জোনে রাতের আধারে অস্ত্রধারী দখলবাজ সন্ত্রাসীরা প্রায় দেড় শত একর পরিমাণে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে উৎপাদিত লবণ লুট করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ার) দিবাগত রাত অনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাঁকড়ারদিয়া নামক এলাকার চিংড়ি জোনে ঘটেছে এ ঘটনা। এতে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লবণ মাঠ প্রকল্প মালিক ও চাষীদের। এসব লবণ মাঠ প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।
জানাগেছে, বদরখালীর কাঁকড়ারদিয়া নামক চিংড়ি জোন এলাকায় নজরুল ইসলাম ও অপরাপর লোকজনের মালিকানা ও পরিচালনাধীন ১৫০ একর জমি  চিংড়ি চাষের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লিজ নেন। বর্ষা মওসুমে চিংড়ি চাষ হলেও শুষ্ক মৌসুমে লবণ পানি ঢুকিয়ে এসব জমিতে লবণ উৎপাদন করা হয়। স্থানীয় শতাধিক লবণ চাষীকে এই জমি বর্গা হিসেবে দেয়া হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে এসব চাষিরা ওই জমি লবণ উৎপাদনের উপযোগী করে তোলেন। বর্ষা মওসুমে চিংড়ি চাষ হলেও শুষ্ক মৌসুমে লবণ পানি ঢুকিয়ে এসব জমিতে লবণ উৎপাদন করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, বদরখালীর নুরুন্নবী প্রকাশ দালাল নুরুন্নবী নামে এক ব্যক্তি অর্ধ শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে উৎপাদনমূখী লবণ মাঠ প্রকল্পের প্রায় দেড় শত একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। প্রকল্পের কর্মচারীরা বাধা দেওয়া তাদের মারধর করা হয়েছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করে নিয়ে গেছে উৎপাদিত লবণ ও সরঞ্জামাদী। সবমিলিয়ে প্রায় ৬০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে থানা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামের মনছুর আলম বলেন, চলতি মৌসুমে ‘লাভের আশায় পাঁচ একর জমি বর্গা নিয়ে লবণ চাষ শুরু করেন। প্রতি একর জমি চাষের জন্য তৈরি করতে অন্তত ৭০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে।
বদরখালী সাতডালিয়া পাড়ার লবণ চাষি  ছরওয়ার আলম বলেন, ২০ কানি জমি বর্গা নিয়ে লবণ মাঠ তৈরি করেন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় তার ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই ভাবে স্থানীয় লবণ চাষী দলিলুর রহমানসহ একাধিক চাষিরা বলেন,  লবণ মাঠের এমন কোন মাঠ নেই পলিথিন কাটেনি। এতে চাষিদের উৎপাদিত ১৫০ একর লবণ মাঠ নষ্ট হয়েছে।চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভুঁইয়া জানান, ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছেন এবং লবণ প্রকল্পের পরিচালক নজরুল ইসলাম এদিন বিকেলে একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।