আজ, বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



কোনাখালীতে কথিত মানববন্ধন, বালু উত্তোলন ও স্লুইস গেইট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিভিন্ন অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় কোনাখালীতে বালু উত্তোলন, খালের স্লুইস গেইটসহ বিভিন্ন মিথ্যা বিষয় নিয়ে মানববন্ধন শীষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। বাস্তবিক পক্ষে আমাকে নিয়ে উত্থাপিত সংবাদ ও মানববন্ধনের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সাজানো, মানহানীকর, পরিকল্পিত ও মনগড়া। তাই আমি উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নিন্মে সংবাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরছি; আমার নামে কোন ধরনের মামলা নেই। উল্লেখিত সালাহ উদ্দিনের তাই জাহাঙ্গীর আলমের সাথে শুধুমাত্র আমার নির্বাচনী বিরোধ রয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে আমার থেকে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। আমি জীবনেও কোন
দিন জায়গা জমি দখল বেদখলে জড়িত ছিলাম না। মুলতঃ শুকরমার খালের স্লুইচ গেইটটি আমাদের নামে ইজারা রয়েছে। উক্ত স্লুইচ গেইটটি শুকরমার খাল নামক পরিচিত। আমাদের নামে সরকারি ইজারা পাওয়া চকরিয়া ভূমি অফিসের স্মারক নং 183/24, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার স্মারক
05.20.2200.128.27.021.2024-536/1, তারিখ 20-05-2024ইং। বর্ষাকালে বৃস্টির পানি বৃদ্ধি হলে তা দেখবালের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে একজন সরকারি অফিসারও রয়েছেন। তিনি সার্বিক তদারকি করেন। বালু উত্তোলনের বিষয়টিও সরকারি ইজারা প্রাপ্ত। সরকারী রাজস্ব জমা দিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্মারক নং 05.20.2200.128.20.044.24-643, তারিখ 10-06-24ইং মুলে বৈধ ভাবে ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে আসছেন। যা চকরিয়া মাতামুহুরী নদীর অন্য কোন পয়েন্টে বৈধ আর কোন ইজারাদার নেই। একমাত্র আমরাই সরকারি রাজস্ব দিয়ে ইজারাকৃত মহাল (নদী) থেকে বালু উত্তোলন করছি। সংবাদে উল্লেখিত মহিলা আমার কোন শত্রুতা বা বিরোধ নেই। গাছ কাটা সংক্রান্ত যা বিরোধ ছিল তাও থানা ও এএসপি সার্কেল মহোদয়ের কার্যালয়ের নির্দেশনা মতে সমাধান হয়ে গেছে। তার কর্তনকৃত গাছের বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় ৪গুন (১লাখ ৫ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। বিচারে শালিসকারগন ও পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে উক্ত মহিলার বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত সালাহ উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম গংদের সাথে চলতি সনের গত ৫ আগষ্ট এর পূর্ব দিন পর্যন্ত আমার সাথে কোন ধরনের বিরোধ ছিলনা। শুধুমাত্র নির্বাচনী বিরোধে সরকার পতনের সুযোগে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইতিপুর্বে কোনাখালীর বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন ও ইউনুছের নেতৃত্বে আমার কাছ
থেকে কোন কারণ ছাড়া অন্যায়ভাবে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি অনুপায় হয়ে গত ২৭আগষ্ট’২৪ইং
আমার বৈধ ব্যবসা থেকে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। দুই লাখ টাকা পরিপূর্ণ না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এসব কথিত মানববন্ধন, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও হুমকি ধমকি প্রদান করে যাচ্ছে। মূলতঃ চাঁদা নেওয়ার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা ধামাচাপা দিতে কথিত মানববন্ধন করেছে। উক্ত কথিত মনববন্ধন ও মিথ্যাচার নিয়ে প্রশাসন ও প্রাণ প্রিয় এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানাছি এবং প্রচারিত মিথ্যা সংবাদ সমূহেন তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারীঃ মোঃ ইফতেখার বকুল
পানেল চেয়ারমান-১
কোনাখালী ইউপি, এমইউপি ৬নং ওয়ার্ড
কোনাখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার।