আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



লিংক রোড বেসিকে নিষিদ্ধ রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রিম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লিংক রোড বেসিকে নিষিদ্ধ রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রিম।

মোঃশাহেদুল ইসলাম।

কক্সবাজার বিভিন্ন স্থানে অসাধু ব্যবসায়ীদের ছড়াছড়ি নামে-বেনামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি।

লাগাতার তীব্র গরম এবং তাপদাহে অধিষ্ঠ মানুষ এই গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য মানুষ সাধারণত আইসক্রিম খেয়ে থাকে, তবে কিছু অসাধু ব্যবসী এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি খুলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিষিদ্ধ রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল আর্সেনিক যুক্ত পানি মিশ্রিত করে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রিম। যার ফলে বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

কক্সবাজারের লিংক রোডে পলিটেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের পূর্ব পাশে এক অসাধু অবৈধ ব্যবসায়ী নোংরা পরিবেশে রাসেল আইসক্রিম ফ্যাক্টরি নাম দিয়ে আইসক্রিমের মিল করে খুলে তৈরি করা হচ্ছে হরেক রকমের নিষিদ্ধ রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল ময়লা যুক্ত আইসক্রিম।

যে আইসক্রিমগুলোতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল নোংরা পরিবেশে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেফটি হ্যান্ড গ্লাভস ব্যতীত নোংরা পানির মিশিয়ে তারা এই ধরনের আইসক্রিম গুলো তৈরি করে যাচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে আইসক্রিমের কারখানা বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় ভরা এবং সেখানে আইসক্রিমের তৈরীর মেয়াদ উত্তীর্ণ বিষাক্ত কেমিক্যাল , নিষিদ্ধ রং ও একদম খোলামেলাভাবে ময়লা আবর্জনা ভরা, পরিবেশে তৈরি করে যাচ্ছে এসব আইসক্রিম।

আইসক্রিম মিলে দেখা যায়, কর্মচারীরা এলোমেলোভাবে ফুটপাতের মতো বসবাস একই কারখানায় কর্মচারীরা সেখানে ঘামযুক্ত শরীরে উল
উম্মুক্ত হাতে আইসক্রিম তৈরি করে যাচ্ছে, এগুলো দেখলে জীবনে যাতে আইসক্রিম খাওয়ার তো দূরের কথা জীবন আর আইসক্রিম মনে পড়বে না।

এমন নোংরা পরিবেশে তারা বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত এবং আর্সেনিক যুক্ত পানি মিশ্রিত করে এইসব আইসক্রিম গুলো তৈরি করা হচ্ছে।।

এসব আইসক্রিমগুলো প্রতিদিন কক্সবাজারের হাজার হাজার মানুষ খেয়ে থাকে, বিশেষ করে এই সব আইসক্রিম গুলো স্কুল, মাদ্রাসার ছাত্রদের টার্গেট করে ছোট ছাত্রদের কাছে বিক্রি করা হয়। কলেজ থেকে শুরু করে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ এই আইসক্রিম গুলো খেয়ে থাকে।

এই যে বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত ও নিষিদ্ধ রং মিশ্রিত আইসক্রিম খাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ, যেহেতু ছাত্রদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করে বিক্রি করা হয়, তবে আইসক্রিম গুলো খাওয়ার পরে প্রতিনিয়ত ছোট থেকে শুরু করে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষরা বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সেখানকার একজন আইসক্রিমের সিনিয়র কারিগর তার সাথে কথা বললে তিনি জানান আসলে আমাদেরকে যেভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে আমরা সেভাবেই করে থাকি। মালিকপক্ষ যেভাবে আমাদেরকে তৈরি করতে বলছে আমরা সেভাবেই তৈরি করছি এখানে আমাদের কোন দোষ নেই।

কক্সবাজারের এবং স্থানীয় জনসাধারণের একটাই দাবি এসব অবৈধ আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি ও অসাধু ব্যবসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় আনা হোক, নয়তো কক্সবাজার প্রত্যেকটি স্কুল, মাদ্রাসার ছাত্র থেকে শুরু করে প্রতেক শ্রেণীর মানুষের জন্য বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা ও বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।