সংবাদদাতা মোঃ শাহেদুল ইসলাম।
কক্সবাজার টেকনাফের কোয়েনছরিপাড়া এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী ফারুক এবং রামুর জোয়ারিয়ানালায় পৃথক আরেকটি অভিযানে ০৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। গত ২৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন জনৈকা রশিদা বেগম এর ০৬ বছর বয়সী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভিকটিমের বাবা-মা তাদের সন্তান-সন্তানাদি নিজ ঘরে রেখে পানের বরজে কাজ করতে যায় এবং কাজ শেষ পুনরায় ঘরে ফিরে ভিকটিমকে বিবস্ত্র অবস্থায় মাটিয়ে শুয়ে কান্না করতে দেখে। ভিকটিম মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফারুক ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ফারুক আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ৪৭, তাং ২৬/১১/২০২৩, ধারা-২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৪) (খ)। বিষয়টি সম্পর্কে র্যাব-১৫ অবগত হয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৫.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ (টেকনাফ ক্যাম্প) এর আভিযানিক দল টেকনাফের কোয়েনছরিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী ফারুক’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। এছাড়াও গত ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.২০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের নূরপাড়া এলাকাস্থ বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারগামী মহাসড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে মাদক বিরোধী পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৫, সিপিএসসি (কক্সবাজার ক্যাম্প) এর আভিযানিক দল। চেকপোস্টে অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে কক্সবাজারগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসে দুইজন যাত্রীর আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটকপূর্বক বিধি মোতাবেক তল্লাশী করা হয়। এ সময় আটককৃত মাদক কারবারী সেনোয়ার বেগম এর দেহ তল্লাশী করে তার বোরকার ভিতরে শরীরের সাথে স্কচটেপ দ্বারা বাঁধা অবস্থায় ০৪ কেজি এবং রোকসানা এর দেহ তল্লাশী করে তার বোরকার ভিতরে শরীরের সাথে স্কচটেপ দ্বারা বাঁধা অবস্থায় ০৩ কেজি সর্বমোট ০৭ (সাত) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা আর্থিক লাভের জন্য প্রতিনিয়ত অভিনয় কায়দা/পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য গাঁজা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মাদক স্থানান্তর করে বিক্রয় করে থাকে বলে জানায়।
৪। গ্রেফতারকৃতদের বিস্তারিত পরিচয় –
১) মোঃ ফারুক (২২), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-হাতিয়ারঘোনা, ২নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার।
২) সেনোয়ার বেগম (৩৫), স্বামী-আব্দুল জলিল, পিতা- আবুল কাশেম, সাং-দোহাজারী, ৭নং ওয়ার্ড, দোহাজারী পৌরসভা, থানা-চন্দনাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম।
৩) রোকসানা (৩৬), স্বামী-নেজাম উদ্দিন, পিতা-আব্দুল হাকিম, সাং-আব্দুল্লার কলোনী, ফিশারী ঘাট, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।
৫। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে রামু থানায় এবং ধর্ষণ মামলার আসামী ফারুককে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc