আজ, বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করে চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগ নেতা ফজল করিম চৌধুরীর খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে খোলা চিঠি লিখেছেন চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. ফজল করিম চৌধুরী। দীর্ঘ এ চিঠিতে তিনি জীবন বৃত্তান্ত উপস্থাপন পূর্বক জাতির পিতার আদর্শের এক অকতোভয় সৈনিক এমনকি তার পুরো পরিবার আওয়ামী পরিবারসহ নানা বিষয়ে বিশদভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সাথে সাথে আবেদন নিবেদন করে বলেছেন ,মা জননী আমার এই আবেদনটুকু অবশ্যই একটু মেহেরবানী করে দেখবেন।  আর তার আর একটি বড় আশা ব্যক্ত করেছেন চিঠিতে তা হচ্ছে জীবনের বড় শেষ  আশা মা জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে একবার দেখা করার ইচ্ছা পোষন করেছেন এজন্য তিনি

প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে নিজ ফেসবুক টাইম লাইনে চিঠিটি পোষ্ট করেন এবং গণমাধ্যম কর্মী ভাইদের আহবান করেছেন চিঠিটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য।

নিম্নে তা হুবুহু তুলে ধরা হলঃ

দেশরত্ন মমতাময় মা জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে আমার স্বশ্রদ্ধ সালাম নিবেন “আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু”।

আশা রাখি আল্লাহ পাকের মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আপনার দোয়ার বরকতের আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। মা জননী ১৯৯১সালে আমার আম্মুজান মৃত্যুরবরণ করেছেন এবং ১৯৮৬ সালে আমার আব্বাজানও মৃত্যুরবরণ করেন। আমার আব্বাজান সরকারি চাকরি করতেন এবং আম্মুজান গৃহিণী ছিলেন। আমি অনেক কষ্ট করে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা পাশ করে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ভর্তি হই। কিন্তু দুঃখের বিষয় আর্থিক কারণে ঠিক মতো কলেজে যাওয়া আসা ও লেখাপড়ার খরচ পূরণ করতে পারিনি। পরে আমি চট্টগ্রাম ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক তিব্বিয়া মেডিকেল কলেজ  হইতে ২০০৬ সালে ৪ বছরের কোর্স সম্পন্ন করি। আমার রেজিঃ নং- ২৪৩৩ চিকিৎসক  হিসাবে নিবন্ধন অর্জন করি।

আমি ছাত্রজীবন  থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছি এবং আমার রক্তের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ মিশে আছে ও জাতির জনকের আর্দশের সৈনিক হই।

বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের কার্যকারী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। একইসাথে বাংলাদেশ কৃষকলীগের চকরিয়া পৌরসভা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ করছি।

আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছে এবং আমরা প্রতিটি মিছিলে মিটিংয়ে রাজপথে আছি এবং থাকবো ইনশা’আল্লাহ। মা জননী আমি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাসে রোজ সোমবার  চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়। সেই নিবার্চনে আওয়ামী লীগের চকরিয়া পৌরসভা শাখার একমাত্র প্রার্থী হই। আমি চকরিয়া পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড থেকে  কাউন্সিল পদপ্রার্থী  হিসেবে নিবার্চন করি। আমার মার্কা উটপাখি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি আমার নিজস্ব তহবিল থেকে সাধ্যমতো ত্রাণ সামগ্রিক বিতরণ করি। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে ও বন্যার মধ্যে মানুষের দুংখ-কষ্ট লাঘবে সবসময় মানুষের পাশেই থেকেছি। আমার এসব উদারতা শুধু মানুষের কল্যাণের জন্য। মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই ছিলো আমার সফলতা। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা ছিলো সর্বস্তরের মানুষের কাছে দৃশ্যমাণ।

এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার প্রতিটি মা বোনদেরকে এবং ভাই ও মুরুব্বিদের কাছে গিয়ে  ভোট ভিক্ষা প্রার্থনা করি। এলাকার সকল জনসাধারণ আমাকে উটপাখি মার্কা ভোট প্রদান করে এবং আমি জনগণের মাধ্যমে জানতে পাড়ি আমি নাকি ৯২০ভোট পেয়েছি । কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রীজ মার্কা তথা বিএনপির লোক  কারচুপি করে টাকার বিনিময়ে আমার ভোট কারচুপির করে আমাকে দেখানো হয়েছে দুই কেন্দ্রে মাত্র ২৪ ভোট। এইটা পাওয়ার যোগ্য নয় আমি, মহান আল্লাহকে সাক্ষী করে বলছি আমি বিজয়ের কাকাছি ভোট পেয়েছি। কিন্তু আমাকে ষড়যন্ত্র করে হঠানো হয়েছে। কারণ প্রতিটি ভোটারগণ আমাকে মোবাইলের মাধ্যমে বলছে আমি আপনাকে উটপাখি মার্কা ভোট প্রদান করি আমার মোবাইলে রেকর্ড আছে নাম ঠিকানাসহ। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতেই হচ্ছে আমাকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে মানহানি করা হয়েছে। আমি বিভিন্ন সরকারি দফতরে অনুলিপি জমা দিয়েছি।

মা জননী আপনার কাছে একটি আবেদন রইল- নিবার্চনী ফলাফলের ভুল ত্রুটির কারণে কার্যক্রম স্থগিতকরণ এবং পুণর্গণনা করার জন্য মা জননী নিদেশ দেওয়া জন্য আপনার কাছে আকুল আবেদন জানাছি । সত্যিকারে বিজয়ীকে ঘোষণা দেওয়া হোক। মা জননী আপনি চকরিয়া উপজেলার নিবার্চন কমিশনকে নিদেশ দেন সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কমিটি দিয়ে বিচার বিশ্লেষন করা অবশ্যই দরকার। মা জননী আমরা রাজনীতি করি চাওয়া পাওয়ার জন্য নয় ও পেশা হিসাবেও নয়। বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকের ভিতর লালন পালন করে ও আপনার প্রতিটি কথা বার্তায় অনুপ্রেরণা যুগায় বলে আমরা রাজনীতি করি। আমরা টাকার কাছে হার মানবো কেন আমাদের কি নির্বাচন করার কোন অধিকার নাই? সরকারি দল হয়ে বিএনপির কাছে  হারিয়ে যাবো কেন?

মা জননী আমার এই আবেদনটুকু অবশ্যই একটু মেহেরবানী করে দেখবেন।  আর আমার একটি আশা আছে মা জননী আপনার সাথে দেখা করতে  গত সম্মেলনে ও  দেখা করতে পারিনি মানুষের ভিড়ে  ২০১৮ সালে৷ মা জননী আপনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আমিও গিয়েছিলাম। মদিনার মধ্যে অল্পের জন্য দেখা করতে পারি নাই। যাক ইনশাআল্লাহ একদিন না একদিন মা জননী সাথে ছেলের দেখা হবে ইনশা’আল্লাহ। বিদায় নিলাম। আল্লাহ আপনার দীর্ঘ হায়াত  দান করুন… ছেলের জন্য একটু দোয়া করবেন। মা জননী ভুল হলে মাফ করে দিবেন ছেলেকে। ‍“জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।

ইতি,
 
আপনারই অনুগত ছেলে
আলহাজ্ব মো. ফজল করিম চৌধুরী
সিনিয়র সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ কৃষকলীগ
চকরিয়া পৌরসভা।