আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় এওয়াজের ৪৭বছর পর এসে শতাধিক অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এওয়াজনামার ৪৭বছর পর এসে শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাঠিয়াল নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে বসতভীটার জমি জবর দখলের ঘটনা ঘটেছে। তারা প্রথমে বাশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে ইটের গাঁথুনী দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুল গ্রামে ২৫মে দুপুরে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ জমি মালিক পক্ষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানাগেছে, কৈয়ারবিলের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শহীদ হোছাইন চৌধুরী গংয়ের সাথে
ফোরক আহামদ গং ও আবদুল হালিম গং বিগত ১৯৭৭সনের ১৬মে রেজিষ্ট্রাট এওয়াজনামা নং ১১৯৬ ও ১১৯৭ মূলে জমি বদল করার পরও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তথ্য গোপন করে ২২৩০ ও ২০৩১ নং খতিয়ান সৃজন করেন। ইতিপূর্বে এসব খতিয়ান নিয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চকরিয়া, কক্সবাজারে অপর মোকদ্দমা নং ৩৭/২০২৪ করেন জালিয়তচক্র। উল্লেখিত কথিত খতিয়ান বাতিল চেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) চকরিয়া কার্যালয়ে রিভিও মামলা করেন শহীদ হোছাইন চৌধুরী গং। মামলায় কয়েক দফায় দীর্ঘ শুনানী শেষে কৈয়ারবিল মৌজার উল্লেখিত মোট ০.১৪২২ একর জমি কর্তন করে ধারাবাহিকভাবে মূল বি.এস ৭০২ ও ৭০৩ নং খতিয়ানে পূর্নবহাল করে ২০মে’২৪ইং আদেশ দেন সহকারি কমিশনার(ভূমি) চকরিয়া মোঃ এরফান উদ্দিন।
একইভাবে উক্ত রায় (আদেশ) নিয়ে এওয়াজনামা দাতা ফোরক আহামদ গং ও আবদুল হালিম গং কর্তৃক সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চকরিয়া, কক্সবাজারে দায়ের করা মোকাদ্দমাও খারিজ করে দিয়ে বিবাদী মরহুম শহীদ হোছাইন চৌধুরীর পক্ষে আনিছ উর রহমান চৌধুরী গংয়ের পক্ষে জমি পূণর্বহাল করেন। আদালত এওয়াজনামা কার্যকর আছে মর্মে বিবেচিত করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত জালিয়তচক্র ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত জমিতে নিষেধাজ্ঞা দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার। এর পরও জমিতে অস্ত্রধারী লাঠিয়াল সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে আদালতে আদেশ, রায়, নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা। ফলে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্খা দেখা দিয়েছে।
জমি মালিক পক্ষের মরহুম শহীদ হোছাইন চৌধুরীর পুত্র আফজল উর রহমান চৌধুরী জানান, তাদের সব পরিবার প্রবাসে থাকেন। প্রত্যেক ভাই রেমিট্যান্স যুদ্ধা। প্রবাসে থাকার সুযোগে তাদের পিতার সাথে এ্যাওয়াজ দাতারা প্রায় ৪৭ বছর পর এসে জোর পূর্বক তাদের বসতভীটার জমি জবর দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে জোর করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর একাধিকবার পুলিশ টীম পাঠিয়ে বাধা নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও কাজ অব্যাহত রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতিপূর্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন (প্রসিকিউশন) দেওয়া হয়েছে।