যুগ যুগ ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসলেও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব পায়নি রোহিঙ্গারা। এমনকি কয়েক বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের ওপর জাতিগত নিধন অভিযান চালালে প্রতিবেশী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে বেকায়দায় পড়ে এবার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। তবে তার জন্য দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত। শর্তটি হলো- রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
রাখাইন রাজ্যের অধিকারকর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গা পুরুষরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করলে প্রত্যেককে এক বস্তা চাল, নাগরিকত্ব সম্মিলিত পরিচয়পত্র এবং মাসিক দেড় লাখ কিয়াট (৪১ মার্কিন ডলার) বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জান্তা বাহিনী।
তবে এমন প্রস্তাবে প্রলুব্ধ করতে না পেরে এবার রোহিঙ্গা পুরুষদের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ও শরণার্থী শিবির থেকে জোর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও অধিকারকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এসব রোহিঙ্গাকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে জান্তা বাহিনী। ইতিমধ্যে রাখাইনের সিত্তওয়ে ও বুথিদাউং শহরের গ্রাম ও শরণার্থী শিবির থেকে ৪০০ রোহিঙ্গা পুরুষকে তুলে নিয়ে গেছে তারা। তাদের দুই সপ্তাহের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইন বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময়কাল মাত্র দুই সপ্তাহ। ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে জান্তা বাহিনী তাদের শুধু মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
© 2021 - All Rights Reversed Coxs TV | Web Developed by Hostbuzz Inc