আজ, শনিবার | ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



এরই নাম নিলাম, নামমাত্র দামে কিনে তিন গুণে বিক্রি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা-আলীকদম,

বান্দরবানের লামা উপজেলার টিনশেড উপজেলা পরিষদ ভবন পার্ট-১, ভূমি অফিস, পার্ট-২, উপজেলা প্রশাসনিক ভবন প্রকাশ্য নিলামের নামে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। বিশাল ভবনটি নিলামে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫শত টাকায়। যা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কিনে তিন গুণ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এদিকে সরকারি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। লামা এলজিইডি’র উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এই টিনশেড উপজেলা পরিষদ ভবনের স্টিমিট করেন। এর আগে উপজেলা পরিষদের সামনে আঙ্গিনার বিছানো পাকা মাঠের প্রায় ৩০ হাজার ইট কোন প্রকার নিলাম না দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যার কোন হিসাব দেখানো হয়নি।

জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২২ইং সোমবার লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রকাশ্য নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৭৯টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। সেখানে ঠিকাদারের সিন্ডিকেট মেসার্স বিএস এন্টারপ্রাইজ লাইসেন্সের নামে মাত্র ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় কিনে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। বাহির থেকে আসা ঠিকাদার অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, সিন্ডিকেট ডাকবে জানলে আমরা এতদূর থেকে আসতাম না। এভাবে সরকারি ভবন নামমাত্র টাকায় ওপেন নিলামে বিক্রি করায় সিন্ডিকেট আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। আর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, লামা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ায় টিনশেড পুরাতন ভবনটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সেখানে সংশ্লিষ্টদের পরোক্ষ সহায়তায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামমাত্র দামে ভবনগুলো কিনে নেন।

অভিযোগ আছে, বিভিন্ন স্থান থেকে নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়নি। বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলাম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। নামমাত্র ধার্যকৃত টাকা থেকে সামান্য কিছু বেশি দিয়ে কৌশলে সিন্ডিকেটকারীরাই কিনে নেন নিলাম। এদিকে স্টিমিটের নির্ধারিত মূল্য থেকেও কম দামে নিলাম দেয়া হয়েছে বলে তারা জানায়।

এ ব্যাপারে কথা হয় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার এর সাথে। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নিলাম কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী আঞ্চলিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলাম দেওয়া হয়।’