আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জমিসহ স্থায়ী ভবণ নির্মাণ করা হবে– এমপি প্রার্থী ইবরাহিম

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া প্রেসক্লাবের জন্য ভুমিসহ ভবণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভবণ নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চকরিয়া প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে সাংবাকিদদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এসব প্রতিশ্রæতি দেন। এসময় রনাঙ্গণের বীর সৈনিক এবং জাতির চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের জন্য কোন স্থায়ী ভবণ না থাকায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.জাহেদ চৌধুরী সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিমিয় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, সিনিয়র সাংবাদিক এম.আর মাহমুুদ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম বেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মুকুল কান্তি দাশ, নির্বাহী সদস্য এস.এম হানিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দরা।

হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, চকরিয়াা-পেকুয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত, দখলবাজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হলে আমার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সেজন্য আগামী ৭জানুয়ারীর দ্বাদশ নির্বাচনে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সবাইকে নিয়ে সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ চকরিয়া-পেকুয়া গড়তে কাজ করে যাবো।
নিজের বাড়ি হাটহাজারি হয়ে কক্সবাজার-১ আসনে কেন নির্বাচন করছেন এর জবাবে তিনি বলেন, আমি একজন রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়ে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। ওইসময় আমি সিলেট, ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার কোন এলাকা নেই। সারাদেশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উন্মুক্ত।
২০১৮ সালে হাটহাজারি থেকেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই নির্বাচন আমার জন্য বেশ সুখকর হয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি পাঁচটি এলাকা থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলাম। কিন্তু এখানকার মানুষের হৃদয়ের আকুতি শুনে, জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে এই এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশাকরি আমি এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো।