আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় নির্বাচনী বিরোধ ও অনুমোদন বিহীন মাঠ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচনের বিরোধ ও স্কুৃল মাঠে অনুমোদন বিহীন প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও নৈশ ভােজ আয়োজনকে কেন্দ্র করে ইসলাম নগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইসলাম নগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ও তৎ সংলগ্ন সেলিমের দোকানের সামনে চলাচল রাস্তায় ঘটেছে এ ঘটনা।

এঘটনায় ইসলামনগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইসলাম নগর এলাকার মৌলানা নজির আহমদের পুত্র মামুনুর রশিদ (৩২) ও মজুদা হোছাইন (২৪)সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে।

বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, ইসলামনগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম শহীদ হোছাইন চৌধুরীর সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে
প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষা সুনাম-সুখ্যাতি বহুল ভাবে প্রচারিত রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা পরধন লােভী ও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এলাকার শিক্ষার মান-উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর’২১ দুপুর ২.১০ ঘটিকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতি রেখে পূর্ব শত্রুতার আক্রেশে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকে মামুনুর রশিদ মামুন প্রদত্ত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও নৈশ ভােজ ১৬ডিসেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় ইসলামনগর শহীদ হােছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থলে বিদ্যালয়ের সুনাম ও সুখ্যাতি বিনষ্ট করার কুমানসে বিদ্যালয়ের নাম বিকৃত করে “ইসলামনগর উচ্চ বিদ্যালয়” এর মাঠে
অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ও মাইকিং যোগে প্রচার করে। কিন্তু অভিযুক্তরা স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে গায়ের জোরে ইসলামনগর শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ১৬ডিসেম্বর মামুন গংদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও নৈশ ভোজ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের নিকট এডভোকেট লুৎফুর কবিরের মাধ্যমে গত ২০ডিসেম্বর লিগ্যাল নােটিশ প্রদান করেন। উক্ত লিগ্যাল নােটিশ পাওয়ার পর আরো ক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের সামনে চলাচল রাস্তায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন অনিককে অভিযুক্ত মামুন হুমকি দিয়ে বলে যে, প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ডকুমেন্টপত্র ও হিসাব-নিকাশ ঠিক করে রাখতে এবং তাহাকে সবকিছু দেখাইতে হবে, না হয় খবর
আছে মর্মে শাসায়। এর পর হতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের মারাত্মক ক্ষতি করবে মর্মে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ডিসেম্বর ভাের ৪ ঘটিকায় অভিযুক্ত মামুনের নেতৃত্বে অপরাপর আসামীগণ দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে চলাচল রাস্তার পাশে পাকা পিলার দিয়ে নির্মিত ও স্থিত বিদ্যালয়ের বড় সাইনবাের্ডটি ও পিলার ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করলে অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ৩১ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশের সেলিমের দোকানের সামনে অভিযুক্তরা বাদী প্রধান শিক্ষককে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা প্রধান শিক্ষককে সর্বশরীরে কিল, ঘুষি মেরে ও বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করত: প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য মাে: আজিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাঁধা প্রদান করে। এসময় তাহাকেও আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়ে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। যা স্থানীয় লোকজন ও সরে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরা অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওসমান গনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে থানার উপপরিদর্শক গোলাম সরওয়ার সংগীয় পুলিশদল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। লিখিত অভিযোগটিও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে উপপরিদর্শক গোলাম সরওয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।