আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়া পৌরশহরে চল্লিশ বছরের বসতি উচ্ছেদ করে কোটি টাকার জমি জবরদখল

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের  চকরিয়া পৌরশরে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বসতবাড়ি ভাংচুপূর্বক প্রায় কোটি টাকার দামের জমি জবর-দখলে নিয়েছে একদল প্রভাবশী চক্র। অভিযোগ উঠছে, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর  মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে এ জবরদখল কান্ড হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

 

পৌরসভার আটনম্বর ওযার্ডের বাসিন্দা মৃত নুর আহমদের ক্ষতিগ্রস্ত ছেলে মো: হোসেন জানান, তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চিরিংগা মৌজার বি,এস ১১২নং খতিয়ানের ৬৩৫ দাগের আন্দর ১৮ কড়া জমিতে বসতভিটা নির্মাণপূর্বক প্রায় চল্লিশ বছর ধরে ভোগদখলে আছেন তিনি। ওই বাড়িতে জনৈক ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালামগং বসবাস করেন। কিন্তু একই এলাকার স্টেশনপাড়ার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে

 

আনোয়ার হোছাইন (৫৯), বায়তুশ শরফ সড়কের বাসিন্দা মৃত আবদুল গণির ছেলে ছাবের আহমদ (৩৮), নাছির উদ্দিন (৫১) এর নেতৃত্বে  ১০/১২জনের একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যূ চক্র মঙ্গলবার  সকালে ওই জায়গা জবরদখলে করতে প্রথমদফা চেষ্টা চালায়, কিন্তু এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মূখে ব্যর্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মো: আরও জানান, দখলচেষ্টাকারিদের বিরুদ্ধে ওইদিন দুপুরে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ভূমিদস্যূরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলের দিকে স্বশস্ত্র ১০/১২জনের ভাড়াটে লোকজন জবরদখল করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জবরদখলের সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই জবরদখল কান্ড শেষ করে ভূমিদস্যূরা। এছাড়া তার উপর(মোঃ হোসন) নির্মম হামলা ও মারধর করে, লুটপাট করে প্রায় ৬লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।  এ বিষয়ে  কাউন্সিলর মুজিবুল হকের কাছ থেকে বক্তব্য  জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” আমি উভযপক্ষের বিচারক ছিলাম, সেই হিসেবে আমি উপস্থিত ছিলাম, তিনি দাবী করেন, জবরদখল ঘটনা সত্য নয় এবং ওই জমি অভিযোগকারি মোঃ হোসনের নয় ও দখলও ছিলনা, তারা প্রকৃত মালিক আনোয়ার হোসেনের কাছে আপসে ছেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মো: হোসেন আরও বলেন,  কাউন্সিলর মুজিব জবরদখলকারিদের  পক্ষের লোক, এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মুজিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় নতুন করে একটি এজাহার দাযের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

ছবি: বসতবাড়ি ভাংচুর করে জবরদখল ও পূর্বের দৃশ্য।