আজ, শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



ফাঁসিয়াখালীর আনাছে-কানাছে একটিই আওয়াজ মানবিক প্রার্থী কুতুব উদ্দিনের আনারস’কে বিজয়ী করা

আবদুল মজিদ,চকরিয়া:
আসন্ন ২৬ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলার ৮নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষাবীদ ও দানবীর সাদামনের মানুষ আলহাজ¦ মো: কুতুব উদ্দিনের নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কার সমর্থনে ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক গণসংযোগ করা হয়েছে। ইউনিয়নের ছাইরাখালী, ছড়ারকুল, গাবতলী, নোয়াপাড়া, রাজারবিল, ঘুনিয়া, অলিশাহ বাজার, দিগরপানখালী ও হাজিয়ানসহ প্রত্যেক পাড়া-মহল্লা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রাখেন। তিনি এরপূর্বে গণমিছিল সহকারে ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। তিনি যেদিকেই যাচ্ছেন সর্বত্রে গণআওয়াজ উঠেছে সৎ ও নামাজী প্রার্থী কুতুব উদ্দিনের নির্বাচনী প্রতীক আনারসকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা।

 গণসংযোগকালে পৃথক পৃথক পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ কুতুব উদ্দিন জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়নে সার্বিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। অভিশপ্ত বেকারত্ব দুরী করনে শতভাগ ভূমিকা রাখবেন। মাদক, ইভটিজিং, সন্তান, জুলুম নির্যাতন মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলবেন। একটি উন্নয়নশীল, আদর্শ ও মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরে ভূমিকা রাখবেন। পরিষদের শতভাগ জনসেবা নিশ্চিত করবেন। তিনি ইউনিয়নের উন্নয়ন বঞ্চিত অবশিষ্ট রাস্তা,ঘাট,ব্রীজ,কালভার্ট, স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় উপসনালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবেন বলে ঘোষনা দেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ কুতুব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সমগ্র ইউনিয়নে তার নির্বাচনী প্রতীক আনারসের গণজোয়ারা সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে ২৬ডিসেম্বর নির্বাচনে। তিনি দল মত ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে সকলকে আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, পরিষদের সেবা নিতে যেন কোন মানুষকে কষ্ট পেতে না হয় সেজন্য ইউনিয়নের পৃথক তিনটি স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের সাব-অফিস স্থাপন করবেন, যেখান থেকে সাধারণ মানুষেরা পরিষদের যাবতীয় সেবা সহজেই নিতে পারেন। কুতুব উদ্দিন বলেন, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ পরিষদের যাবতীয় সেবায় আমূল পরিবর্তন আনবেন। কারো গুণতে হবেনা অধিক টাকা। পরিষদের বেশিরভাগ সেবা বিনামূল্যে করার উদ্যোগ নেবেন এবং সকল ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে যা সহায় সম্পদ দিয়েছেন, তা নিয়ে সুখে শান্তিতে আমুত্য কাটাতে পারবেন, তাই পরিষদের একটি টাকাও তাকে আত্বসাৎ করে খেতে হবেনা। এসময় তার সাথে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজ সর্দার, ছাত্র ও যুবসমাজ এবং বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 পথসভায় বক্তব্যকালে স্থাণীয়রা বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে এবারের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী হচ্ছেন কুতুব উদ্দিন। এ ইউনিয়নের ভোটাররা সবসময় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকেই বেশি পছন্দ করেন। সেদিক দিয়ে কুতুব উদ্দিন অনেক এগিয়ে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী, পবিত্র হজ্জ পালন করেছেন। একজন পরিচ্ছন্ন, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী এবং খোদাভীরু। তার পিতা একজন বড় আলেম। আমৃত্যু মসজিদের ইমাম হিসেবে মানুষের খেদমত করে গেছেন। যার পারিবারিকভাবে রয়েছে অনেক ঐতিহ্য। প্রার্থী কুতুব উদ্দিনের সাথে অন্যপ্রার্থীদের তুলনায় হয়না। তাই এবারের নির্বাচনে তাকেই বেঁচে নিয়েছেন এবং ২৬ডিসেম্বর নির্বাচনে তাকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। ভোটাররা সেই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছেন বলে জানান।