আজ, শনিবার | ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় স্বৈরাসরকারের সেই ত্রাস ও বালুদস্যুরা এখনো বেপরোয়া রাজত্বে, হুমকিতে কৃষক মুসল্লী ও এলাকাবাসী

কফিল উদ্দিন:
চকরিয়ায় আওয়ামী স্বৈরাসরকারের সেই ত্রাস ও বালুদস্যুরা এখনো বেপরোয়া ও বীরদর্পে খোলস পাল্টিয়ে রাজত্ব করছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অবৈধভাবে দখলকৃত ২০ একরেরও অধিক কৃষি জমি উদ্ধার, মসজিদ মাদ্রাসা ও কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে জরুরী আইনি সহায়তা চেয়ে সেনা বাহিনী, র‍‍্যাব, জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ২শতাধিক এলাকাবাসীর গণসাক্ষরে ৪অক্টোবর’২৪ইং লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; মোঃ শওকত পিতা: আবু তাহের, মার্শাল পিতাঃ মোঃ ইলিয়াছ, বশির আহমদ, মোঃ ইলিয়াছ ও মোঃ মুবিন সর্বপিতা আবু তাহের, মোঃ হাসান পিতা নুরুল আলম, ওয়াজ উদ্দিন পিতা: আহমদ হোছন, আরমান ও উসমান সর্ব পিতা আবুল হোছন, মো: আরিফ, সাদেক ও রাসেল সর্ব পিতা নুরুল আমিন, সর্বসাৎ- তরছপাড়া, ১নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, ফরিদুল আলম, সাইফুল ইসলাম ( সাবেক পৌর কাউন্সিলর) ও জাহাঙ্গীর আলম সর্ব পিতা গোলাম কাদের, সর্বসাং সওদাগর পাড়া ২ নং ওয়ার্ড চকরিয়া পৌরসভা, জয়নাল আবেদিন পিতা মৃত আহমদ কবির সাং বাজার পাড়া ১ নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা কক্সবাজারকে। এসব বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর ও নব্যস্বৈরাচারদের কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানিয়েছেন, চকরিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের “মসজিদের জমি দখল ও সরকারী রেকর্ডভুক্ত চলাচল রাস্তা বন্ধ করে ফসলি জমি নষ্ট করে পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে সম্প্রতি সময়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ এরফান উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অবৈধ বালু উত্তোলণ বন্ধ করে দিয়ে মেশিনের কিছু মালামাল নষ্ট করে দেন। এ আক্রোশে সংঘবদ্ধ বিবাদীচক্র অধিকতর ক্ষিপ্ত হয়ে অবৈধ প্রভাবে আবেদনকারীদের মালিকানাধীন ও ভোগ দখলিয় প্রায় ২০ একরেরও অধিক কৃষি জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদে বাধা প্রদান করে আসছে। চাষাদেরকে রীতিমত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আতঙ্কে চাষারা জমি চাষ হতে বিরত আছেন। যার কারণে জমির মালিক ও কৃষকের বিশাল ক্ষতির পাশাপাশি দেশ ও জাতির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। তাদের কু-কর্মের প্রতিবাদ করার কারণে বিগত
২২জুন’২০১৪ইং দুবাই প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য দিবলোকে ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে।ওই ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা নং জি আর ২৩৪/ ২৪ বিচারাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র, লম্বা বন্ধুক, কাটা বন্ধুকসহ ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি ইত্যাদি মারাত্মক দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মাস্টার মাইন্ড অটো ব্রিক্স প্রাঃ কো: লি: কারখানায় অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও ৪/৫ রাউন্ড
ফাকা গুলি ছুড়ে ব্যাপক মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় সিআর ১৭৩১/২৪ নং মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে। তাদের অবৈধ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে চুরি চামারিসহ নানা অপকর্ম অব্যাহত রাখায় এতদঞ্চলের সামাজিক
পরিবেশও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। উক্ত স্থানে মসজিদ, কবরস্থান, একটি ইবতেদায়ী ও নুরানী মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদ কবরস্থানের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ও জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার যতায়াত এবং প্রতিষ্ঠান সমুহেন প্রায় তিনশত কোমলমতি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘিরে মসজিদের জমি দখল ও সরকারি রেকর্ডভুক্ত চলাচল রাস্তা বন্ধ রাখার পাশাপাশি লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস সৃজিত খতিয়ান নং-২৫৪৪, ২০১৮, ২৪৩২, ২৬৭৯, ২৯৮৫, ২৫৪৩,৫৪৩, ৩১৫৪, ২৪৯০, ৪৪৪০, ৪৩৮১, ৪৪১৫, ২৯১৩ এর আন্দরের জমি মালিকগনের ২০ একরেরও অধিক কৃষি জমি সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ চাষীদের জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় ভীত সন্তষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তারা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলেও ছিল ত্রাস। কিন্তু ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরও তাদের সেই ত্রাসের রাজত্ব কমেনি। রয়েছে আরো বেপরোয়া ও বীরদর্পে।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সময়ের অফিসিয়ালী ব্যস্ততার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেননা। এরপরও সহকারি কমিশনার (ভূমি), পৌর কর্তৃপক্ষ ও থানা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।