আজ, শনিবার | ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়া পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আওয়ামী দোসর সচিবের নেতৃত্বে জমি জবর দখলে হামলা, আহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় ও নিন্ম আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর খ্যাত পৌর সচিবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে জমি জবর দখল চেষ্টা, হামলা ও স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জমি মালিক পক্ষের ৬জনকে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বর্তমানেও ফের হামলা, খুন গুমসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী ও ঘরছাড়া করার হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও পৌর সচিব মাসুদ মোর্শেদসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০জনকে। অভিযোগ দেয়ার পরও ২নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত নির্মাণকাজ চলমান রেখেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে ও অভিযোগে জানায়, চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় চিরিঙ্গা মৌজার আর,এস খতিয়ান নং-৭১, আর,এস দাগ নং-৮২ বি,এস খতিয়ান নং-১১৫, বি, এস দাগ নং-৫৩ এর অধিকাংশ জমি মালিক পৌর ৮নং ওয়ার্ডের ষ্টেশন পাড়ার বাসিন্দা মৃত নুর আহমদের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন। তার পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত ও সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পর্যন্ত ডিক্রি পাওয়া জমি।
উক্ত জমি জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট দলিল স্বত্ব বহন না করায় চকরিয়া পৌরসভা পক্ষে তৎকালীন চেয়ারম্যান (মেয়র) আনোয়ারুল হাকিম দুলাল এর নামীয় সৃজিত বিএস ৫৭৮নং খতিয়ান সহকারি কমিশনার (ভূমি) চকরিয়া বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এ.ডি.সি (রেভিনিউ) কক্সবাজারে আপীল করলে তাহাও খারিজ করে দিয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) চকরিয়ার দেওয়া আদেশ বলে রাখেন। উক্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন আদালতে অদ্য সময় পর্যন্ত কোন আপীলও হয় নাই। গত ৬আগষ্ট’২৪ সকালে জমি মালিক পক্ষ তাদের বৈধ জমিতে সংস্কার কাজ করাবস্থায় অবৈধ সরকারের চকরিয়ার শীর্ষস্থানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও অসৎ উপায়ে বিত্তশালী হওয়া পৌর সচিব মাসুদ মোর্শেদের টোকাই শ্রেণীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে জমি মালিক,তার স্ত্রী-পুত্র- মেয়েদের অশ্লীল গালাজ সহ সশস্ত্র হামলা চালায়। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় জমি মালিক পক্ষের ৬জন সদস্য। ছিনিয়ে নেয় মোবাইল সেট, টাকাসহ প্রয়োজনীয় মালামাল। সরকার পতন পরবর্তী আন্দোলনে থানা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই ঘটনা নিয়ে চকরিয়া সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগও করা হয়।
জমি মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পৌরসভা কথিত স্বত্ত্ববিহীন খতিয়ান নিয়ে জমি দখলের ফের চেষ্টা করলে জমি মালিক পক্ষ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আদালত চকরিয়ায় মামলা নং অপর ২১৪/২৪ দায়ের করলে, বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।।কিন্তু উক্ত নিষেধাজ্ঞার পরও পৌর সচিব লাঠিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়ায় এনে জবর দখলে মেতে উঠেছে। জমি দাবী করলে যেকোন মুহুর্তে হামলা, খুন গুমসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকার হচ্ছে জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। উক্ত বিরোধীয় ভূমি নিয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ভূমি মালিক সাব্যস্ত করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান করেন।
জানতে চাইলে পৌর সচিব মাসউদ মোর্শেদ কোন বক্তব্য না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর বিচার শাখার অফিস প্রধান থেকে বক্তব্য নিতে বলেন।