আজ, শুক্রবার | ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার মানিকপুরে লাল কাপড়ের খুঁটি পুঁতেও রক্ষা করা যাচ্ছেনা ৪২একর খাস জমি, নিত্য গড়ছেন নতুন বাড়ি

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ফাইতং মৌজার ১নং খতিয়ানভুক্ত প্রায় ৭৩একর জমি কতিপয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র জবর দখলে মেতে উঠেছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে এগুলো দখল কাজ চালিয়ে আসলেও সরকার পতনের পর পূর্বের দখলদারদের সাথে নতুন আরো কিছু দখলদার চক্র যুক্ত হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে ইউএনও ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সরে জমিনে গিয়ে সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করে লাল কাপড়ের খুঁটি পুঁতে দেন। কিন্তু এরপরও খাসজমিতে প্লট ভিত্তিক দখল ও ঘর (স্থাপনা) নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে জড়িতরা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মানিকপুর চাইল্লাতলি ঘোনা গ্রামে ১নং বিএস খাস খতিয়ানের ৩২৪ দাগে রয়েছে ৫একর এবং
মানিকপুর নতুন পাহাড় এলাকায় ২৩৭ দাগে রয়েছে ৩৭ একর খাস ভূমি।

জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা ফেরদৌস আহমদ, হাসেম উদ্দিন, ব্যবসায়ী মোঃ সাগর সহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্তমানে মানিকপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম কাইছারের নেতৃত্বে দুইটি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। উক্ত দুইটি
দখল করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী আহমদ মিয়া পিতা মৃত আশরফ মিয়া ও আবদুর রহিম পিতা আবদুল খালেক। কাইছার তাদের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেস। গত তিন দিন ধরে কাজ চলমান রেখেছে। উক্ত বিষয়ে ইউএনও’র কাছে স্থানীয়রা অবহিত করলে কাকারা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) আবদুল জাব্বার সরে জমিনে গিয়ে জমি চিহ্নিত করে লাল পতাকায় খুটি স্থাপন করে দিলেও তা সরিয়ে ফেলেন কাইছার। উল্লেখিত খাস জমির মধ্যে মাষ্টার নুরুল ইসলাম বিএস ২৩৭ দাগে এবং জাকের হোসেন হেডমেন বিএস ৩২৪ দাগে প্লট আকারে দখল বিক্রি করছেন।
কাকারা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) আবদুল জাব্বার জানান, চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার নির্দেশনা পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখেন অধিকাংশ সরকারি খাস জমি একটি চক্র জবর দখল করে রেখেছে। সরকারি জমি নিশ্চিত হওয়ার পর জমিতে লাল কাপড়ের খুঁটি দিয়ে দখলবাজদের বাধা নিষেধ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকা তৈরী করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তিনি জবর দখলের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মোঃ এরফান উদ্দিন জানান, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তরা স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।