আজ, রবিবার | ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



তুই এখন যা, এই বাড়িতে তোর কিছুই নেই, আর আসিস না – প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিতে সাঈদীর মা শামসুন নাহার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর বিরুদ্ধে ভাই-বোনের সম্পদ আত্মসাত করার জন্য সাদা পেপারে দস্তখত নিয়ে নিজের মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নিজের জন্মদাতা মা শামশুন নাহারকে নির্যাতন, ভাই বোনের সম্পদ আত্মসাৎসহ নানাভাবে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করার একটি পত্র কক্স টিভির প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই পত্র ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে সাঈদী নিজের মাকে বলেছেন, “তুই এখন যা, এই বাড়িতে তোর কিছুই নেই, আর আসিস না” বলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। গত ৭ বছর যাবত তার মা নিজ বাড়িতেই আসতে পারছে না।

এসব কারনে সাঈদীর মা শামশুন নাহার অসহায় হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেগঘন চিঠি লিখেন। চিঠির কয়েকটি লাইন হুবুহু তুলে ধরা হলো,

“হজ্ব পালন শেষে বাড়ীতে এসে শুরু করল আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এরপরই ফাকে সে তার ১৪ শতক জায়গা হেবা করে নিল, পরপর আরো দুদিন আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আবারও ১৪ শতক জায়গা হেবা করে নিল যা আমার বড় ছেলের প্রাপ্য যিনি কুয়েতে থাকে। দুদিন আমাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল, অবশেষে আমি সহ্য করতে না পেরে বললাম আমাকে আমার মেয়েদের কাছে পৌছে দাও।

মেয়েদের কাছে পৌছে দেওয়ার দিন আবারও চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আরও একটি জমির ১৫ শতক ফজলুল করিম সাঈদীর নামে হেবা করিয়ে বেশ কয়েকটি সাদা পেপারে দস্তখত করিয়ে বলল “তুই এখন যা, এ বাড়ীতে তোর কিছুই নেই, আর আসিস না”।

সেদিন আমি ছোট একটা কেয়ামতের আলামত দেখেছিলাম তার সেই নির্যাতন দেখে। এখন আমি নিজেকে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য চট্টগ্রাম শহরের ৪ মেয়ের বাসায় থাকি, এরপরও নিজের স্বামীর বিটেবাড়ী থেকে দূরে থাকাটা সত্যিই কষ্টের। আমি নিজেকে ফজলুল করিম সাঈদীর কাছ থেকে নিরাপদে থাকার জন্য ৪টি জিডি করতে বাধ্য হয়েছি একজন কপালপুরা মা হিসেবে।

সত্যি আমি তার জন্য অনেক কষ্ট করেছি, সবার তুলনায় তাকে প্রচুর আদর করেছি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আমার ছেলে জায়গা জমির জন্য এভাবে একজন মাকে নির্যাতন করবে আশাকরিনি। সত্যি আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।”