আজ, শুক্রবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা,
ভিডিও ভাইরাল-চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আরিফ হোসেন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আহত যুবক শুলকবহর এলাকার আমির হামজার ছেলে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় সাদা পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি কালো শার্ট পরা যুবককে রামদা নিয়ে ধাওয়া করে। পরে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে যুবক পড়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি। একপর্যায়ে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক। ওই সময় কোপানোর পাশাপাশি হামলাকারী খুঁটির পাশের ইটের স্তূপ থেকে কয়েকটি ইট নিয়ে আহত যুবকের ওপর সজোরে নিক্ষেপ করেন। মিনিট দুয়েক পর হামলাকারী পালিয়ে গেলে আশপাশের লোকজন যুবকের দিকে এগিয়ে যান।
আহত আরিফের ভাই কামাল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে দলবল নিয়ে মির্জারপুল এলাকায় যান ওয়াহেদুল আলম। তিনি ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, সেই টাকা আদায়ে আসেন। এ সময় ওয়াহেদুল আরিফের কাছেও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু আরিফ তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পাশাপাশি ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের চাঁদা না দেয়ার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুরুতে আরিফকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ওয়াহেদুল। পরে তাকে রামদা নিয়ে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
পরে স্থানীয়রা আরিফকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত আরিফের জ্ঞান ফিরেনি।
ওই ঘটনায় বুধবার রাতেই পাঁচলাইশ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন আহত আরিফের ভাই কামাল হোসেন।
মামলায় ৪ আসামি হলেন- ওয়াহেদুল আলম, মো. টিপু, নয়ন দাশ ও আকাশ দত্ত।
মামলার পর ওই রাতেই পাঁচলাইশ এলাকা থেকে প্রধান আসামি ওয়াহেদুল আলম, মো. টিপু ও নয়ন দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক মাশুকুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার ৩ জনকে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ঠিক করেছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।