আজ, বৃহস্পতিবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



লামার ফাঁসিয়াখালীতে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা

চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ার সীমান্তবর্তী লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গলায় ওড়না পেছিয়ে নুরেন রিয়ান তাসফিয়া অপি (১৯) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ঘটিকায় সময় ৫নং ওয়ার্ডে আব্দু রহিম মেম্বার এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধুর মোঃ মিরাজ উদ্দিনের সহধর্মিণী।
জানা যায়, নুরেন রিয়ান তাসফিয়া অপি খুটাখালী দক্ষিণ মেদাকচ্ছপিয়া স্কুল পাড়া ২নং ওয়ার্ডের নুর নবীর মেয়ে। এক বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে পালিয়ে বিয়ে করেন আব্দু রহিম মেম্বারের পুত্র মোঃ মিরাজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে কোন সন্তান নাই। তাদের সম্পর্ক মেয়ের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা মেনে না নিলেও বরের পরিবারের সদস্যরা মেনে নেন। মিরাজ সম্প্রতি তার স্ত্রীকে খুশিতে রাখার জন্য স্বর্ণের চেইন ও আংটি নিয়ে দেন। ঘটনার পূর্বে স্ত্রীর পিতৃালয়ে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের একাধিকার মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করলেও কথা না বলে অভিমান করেন। ঘটনারদিন সোমবার সকালে স্বামী মোঃ মিরাজ উদ্দিন ব্যক্তিগত কাজে স্থানীয় বড়ছন খোলা যান। পরে
মিরাজের ছোট বোন তার ভাবিকে (অপি) খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে যান। দরজা বন্ধ করে দিয়ে বলে আমি পরে খাবো। কিছুক্ষন পর মিরাজের ছোট ভাই স্কুলে যাওয়ার জন্য ভাবি থেকে টাকার জন্য দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে, কোন সাড়া সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান ভাবি অপি প্যান্টের অ্যাঙ্গেলের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে সে বাড়ির সবাইকে বললে, বাড়ির কাজের শ্রমিক আবু তাহের, ফোরকান, মঞ্জুর সহ বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা  গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে প্যানের অ্যাঙ্গেল থেকে নামিয়ে নেয়।
কাজের শ্রমিক আবু তাহের বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে মিরাজের স্ত্রী অপি বুক নাড়াচড়া করতেছিল। পরে মিরাজ সহ এসে দ্রুত চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শোনে মিরাজ বেহুশ হয়ে গেলে, তাকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। এদিকে খবর পেয়ে অপির শশুর আব্দু রহিম মেম্বার লামা যাওয়ার জন্য মিরিঞ্জা পর্যন্ত গেলে, সেখান থেকে ফিরে চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে ছুটে আসেন। পুত্রবধূর মৃত্যুর খবর শোনে তিনিও দিশেহারা হয়ে পড়েন। তিনি পুত্রবধু অপির মাকে ফোন করে মৃত্যুর খবরটি জানায় এবং চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে আসতে বলেন। পরে আব্দু রহিম মেম্বার এর আত্নীয় স্বজন অপির বাবা ও মামাকে বিষয়টি জানান।
বিষয়টি চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ হাসপাতালে এসে লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চকরিয়া থানার এস আই মুজিবুল হক বলেন, এটি কী হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা।