আজ, শনিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



লিটুর খোলা চিঠি প্রসঙ্গ বহিষ্কার

জাহেদুল ইসলাম লিটুর টাইল লাইন থেকে হুবহু  ঃ

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যোগ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক মহোদয় কে ধন্যবাদ।অবগত হলাম আমাকে আবারও বহিষ্কার(যদিও এই ওয়ার্ডটি লিখার ক্ষমতা সম্পর্কে দলীয় গঠনতন্ত্রে পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে)আমিও খুশি হলাম ওনারাও খুশী হলেন!!!কারন ওনাদের মনে দীর্ঘদিন ধরে একটা অতৃপ্তি বিরাজ করছিল।কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বৈঠকে নিজেরা দোষী প্রমানিত হয়ে একটি সফল সমঝোতা হওয়ার ২ মাসের ব্যবধানে আবার একটা সাজানো আকাম না করলে ওনারদের হেডামের পরিমান সম্পর্কে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানতো না।আমি আশা করবো ওনারা এই মহৎ কাজটি করে ওনাদের তৃপ্তির লাগামটায় রেশ টানবেন।আমি খুশী হলাম কেন??? কারণ –
(১) গত ৯’সেপ্টেম্বর নৌকার বিজয়ের জন্য চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আমরা প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী কে সাথে রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা করে ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ করেছি।যে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সাংসদ।- এটাও জেলা চুখে দেখলেন না!!
(২)গত ১২’সেপ্টেম্বর আমার বৃদ্ধ বাবা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আই,সি,ও তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুর আগের ৫ দিন অসুস্থ বাবা কে নিয়ে হাসপাতালে ছুটাছুটি করেছি। বাবার মৃত্যুর পর সম্মানিত জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি/সাধারন সম্পাদক দয়াপরবশ হয়ে সময়ের অভাবে নুন্যতম একটি শোক বার্তা ও ওনারা দিতে পারেননি।-দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনীতির জীবনে বারার মৃত্যুতে একটি শোকবার্তা পাওয়ার যোগ্যতাটুকুও অর্জন করতে পারলামনা!!!
(৩) বাবার মৃত্যু শোকে আমার ৮৫ বছরের ৩ বার স্ট্রোক করা(একপাশ অবশ হওয়া)বৃদ্ধ”মা” গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।আবার ওনাকে নিয়ে ডাক্তার-হাসপাতালে ছুটাছুটি।যার বিস্তারিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমার অভিভাবক আমিনুল ইসলাম আমিন ভাই কে অবগত করেছি।-
হায়রে প্রানের সংগঠন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যোগ্য-মহামান্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক।আপনাদের এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তী প্রদানের জন্য তৃনমুল নেতা-কর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল,প্রানের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।সাথে সাথে মহান আল্লাহ আপনাদের উপর গজব নাজিল না করে আজীবন এভাবে ক্ষমতার চেয়ারে পাকাপোক্ত রাখুক সেই প্রার্থনা করছি।
আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের দুঃখ-সুখের সহযোদ্ধা-সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ রাখছি এই বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন প্রকারের অসন্তোষ-মনে কষ্ট বা দুঃখ পাবেন না।বঙ্গবন্ধু-মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা কে ভালবাসতে,হেসে হেসে জীবন দিতে কোন পদবীর প্রয়োজন পড়ে না।আমি মনে-প্রানে-আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত রাজপথের আপোষহীন লড়াইয়ে কারাগারে সিক্ত যোদ্ধা।
নিষ্ঠুর,অমানবিক,বিচারহীন এই জেলা আওয়ামীলীগের অধিনে চেয়ার/পদবীতে বহাল থাকার চেয়ে সংগঠনের একজন নিবেদিত প্রান কর্মী হয়ে বেঁচে থাকা অনেক বেশী মর্যাদার বলে মনে-প্রানে বিশ্বাস করে সাথে সাথে বুক ভরা স্বস্তি নিয়ে আমার এই লিখার সমাপ্তি টানলাম।
আমার প্রিয় সংগঠন চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার প্রানান্ত ভালবাসা অটুট থাকবে।সকলে আমার শোকাহত পরিবার ও আমার মৃত্যু যাত্রী বৃদ্ধ মায়ের জন্য দোয়া করবেন।দেখা হবে আপনাদের দুঃখ-সুখের একজন ক্ষুদ্র সহযোদ্ধা হিসেবে।জয়বাংলা-জয়বঙ্গবন্ধু।
জাহেদুল ইসলাম লিটু
( বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন তৃনমূল মাঠকর্মী)
চকরিয়া,কক্সবাজার।